প্রতীকী ছবি।
পরের দিন কোন কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে, তার জন্য মোবাইলের রিমাইন্ডারের উপর ভরসা করতে হয়? অবশ্য না করে উপায়ও থাকে না, নইলে অনেক কিছুই যে ভুলে যাবেন! বাজার বেরোনোর সময়ে কোনও একটি বিশেষ জিনিস কেনার কথা মাথায় এল, কিন্তু বেমালুম না কিনেই বাড়ি চলে এলেন। কিংবা ধরুন ভীষণ পছন্দের কোনও সিনেমা, কিছুতেই নাম মনে পড়ছে না। এই ছোটখাটো ভুলে যাওয়াগুলি থেকেই কিন্তু পরবর্তীকালে অ্যালঝাইমার্স, ডিমেনশিয়ার মতো স্মৃতিলোপ হওয়ার অসুখ দেখা যায়। তাই মনে রাখার ক্ষমতা বাড়াতে রোজকার খাবারের তালিকায় কিছু জিনিস যোগ করুন।
কুমড়োর বীজ
কুমড়ো আমরা অনেকেই খাই। কিন্তু কুমড়োর বীজ? বোধহয় না। কিন্তু এই কুমড়োর বীজ মনে রাখার ক্ষমতা তো বাড়ায়ই, সেই সঙ্গে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের পক্ষেও এটি খুবই উপকারি। কম বয়স থেকেই কুমড়োর বীজ খাওয়া শুরু করুন। কুমড়োতে থাকা দস্তা মনে রাখার ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
প্রতীকী ছবি।
ব্রকোলি
ব্রকোলি এখন বেশ পরিচিত একটি সব্জি। অনেকেই এটি খেতে ভালবাসেন। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই সব্জিতে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ফ্ল্যাভোনয়েড, ভিটামিন ই ও প্রচুর পরিমাণে আয়রন। এই প্রতিটি পুষ্টি উপাদানই মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। কাজেই ব্রকোলি নিয়মিত পাতে রাখলে বাড়বে স্মৃতিশক্তি।
বাদাম
টুকটাক মুখ চালাতে বাদাম খান? জানেন কি বাদাম খেলে বাড়বে মনে রাখার ক্ষমতা? প্রতিদিন ১০-১২টি বাদাম খান। দুধের সঙ্গে পেষা বাদাম মিশিয়ে খেতে পারেন, আর না হলে শুকনো বাদাম তো খাওয়াই যায়। স্মৃতিশক্তি বাড়াবে এই বাদামই।
প্রতীকী ছবি।
আখরোট
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভাল রাখে আখরোট। এতে থাকা ভিটামিন ই ও ম্যাঙ্গানিজ মস্তিষ্ককে সক্রিয় করতে সহায়তা করে। কাজেই ভুলে যাওয়ার মতো বিপত্তি এড়াতে এখন থেকেই নিয়মিত আখরোট খেতে শুরু করুন। একমুঠো আখরোট ওটমিল বা স্যালাডের সঙ্গে মিশিয়ে রোজ খেলে উপকার পাবেন।