প্রতীকী ছবি।
সকালে ঘুম থেকে উঠে ঘাড়ে-হাত-পায় ব্যথা করছে? হয়তো রাতে বেকায়দায় ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। তাই কী ভাবে ঘুমোচ্ছেন, তা অত্যন্ত গরুত্বপূর্ণ হয়ে যায়। সোজা হয়ে শোওয়া সবচেয়ে ভাল বলে ধরে নেওয়া হতো বহু দিন পর্যন্ত। কিন্তু হালের গবেষণা বলছে, এক পাশ ফিরে শোওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে অনেক বেশি ভাল। ঠিক মতো শুতে পারলে পিঠে-কোমরে ব্যথা কমে যেতে পারে। নাক ডাকার সমস্যাও অনেকটা কমে যায়।
যাঁদের ওবস্ট্রাক্টিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ার মতো জটিল অসুখ রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রেও নাক ডাকা একটি প্রধান উপসর্গ। এই রোগ থাকলে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হতে পারেন বা ডায়াবিটিসের সমস্যাও তৈরি হতে পারে। এক পাশ ফিরে শুলে এই রোগের আশঙ্কা কমবে।
এক দিকে ঘুমনোর ঝুঁকি কী কী
পিঠ আর কোমরের ব্যথা কমলেও এক দিকে সারা ক্ষণ শুয়ে থাকলে শরীরের অন্য অংশে ব্যথা হয়ে যেতে পারে। তাই মাঝে মাঝে পাশ বদল করতে হবে।
খেয়াল রাখতে হবে থুতনি যেন বুকের কাছে ঝুঁকে না যায়। তা হলে ঘাড়ে, গলায় ব্যথা হতে পারে। খুব নরম বালিশ বা গদিতে তাই না শোওয়াই ভাল।
প্রতীকী ছবি।
কোন দিকে শুলে উপকার বেশি
ঘুমের মধ্যে পাশ ফেরা বা বদল করা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে বাঁ দিকে শোওয়া শরীরের পক্ষে বেশি উপকারি বলে ধরে নেওয়া হয়। কারণ এ ভাবে শুলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রতঙ্গ বেশি খোলামেলা ভাবে শ্বাস নিতে পারে এবং শরীর থেকে যাবতীয় বিষাক্ত পদার্থ সহজেই বেরিয়ে যেতে পারে।
পেটের উপর ভর দিয়ে শুলে শরীরের বিভিন্ন প্রতঙ্গে সবচেয়ে বেশি চাপ পড়ে।
পাশ ফিরে ঘুমোলে কী কী মাথায় রাখবেন
১। একটা মোটামুটি শক্ত গদি ব্যবহার করুন। খুব শক্ত হলেও ঘুম আসতে অসুবিধা হবে। একটা শক্ত বালিশ নিন।
২। বাঁ দিকে করে ঘুমনোর চেষ্টা করুন। কান, ঘার যেন সমান্তরাল থাকে। থুতনি যেন বুকের দিকে ঝুঁকে না যায়।
৩। হাত মুখের কাছ থেকে সরিয়ে শরীরের পাশে রাখুন।
৪। দু’পায়ের ফাঁকে একটা বালিশ নিন। যাতে দুই হাঁটু লেগে না যায়।
৫। হাটু সামান্য মুড়ে শুলে শিরদাঁড়ায় বেশি টান পড়বে না।