প্রিয় পানীয় জানতে চাইলে অনেকেই বলবেন চা বা কফি। কেউ বলবেন বিয়ার। চোখ কপালে তুলবেন না। ৩ অগস্ট আন্তর্জাতিক বিয়ার দিবস। বিয়ারের নাকি বেশ কিছু উপকারিতাও রয়েছে।
বিয়ার দিবস পালন করা হয় এই পানীয়টি যাঁরা প্রস্তুত করেন, তাঁদের কথা মাথায় রেখেই।
বিয়ার নাকি হাড়ের জোর বাড়াতে সাহায্য করে। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব এন্ডোক্রিনোলিজতে প্রকাশ পেয়েছে এই গবেষণা।
আমেরিকান সোসাইটি অব নেফ্রোলজি বলছে, কিডনি স্টোন হওয়ার সম্ভাবনাও নাকি কমে যায় এক বিয়ার পানের অভ্যাস থাকলে। ২৩ % শতাংশ ক্ষেত্রে এটি প্রমাণিত।
বিয়ার নিয়মিত যাঁরা পান করেন, তাঁদের রক্তাল্পতার সম্ভাবনা কমে যায়। এ বিষয়ে বিদেশি পত্রিকায় কিছু গবেষণাপত্রও রয়েছে।
বিয়ার পান করলে নাকি ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা কমে। ২৩ % শতাংশ ক্ষেত্রে কমে অ্যালঝাইমার্সের সম্ভাবনাও। শিকাগোর লয়োলা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বলছে সেকথা।
বিয়ার পান করলে নাকি মন বেশ উৎফুল্ল থাকে। জার্নাল অব এগ্রিকালচার অ্যান্ড ফুড কেমিস্ট্রিতে প্রকাশিত হয়েছে এই সংক্রান্ত গবেষণাপত্র।
প্রস্টেট ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা কমে বিয়ার পান করলে, এমনটাই বলছেন জার্মান গবেষকরা। কারণ বিয়ারে রয়েছে ‘জ়্যান্থোহিউমল’।
বিয়ার খেলে ধরে রাখতে পারবেন তারুণ্য। কারণ বিয়ারে রয়েছে ভিটামিন ই। জার্নাল অব সেল মেটাবলিজমে রয়েছে এই সংক্রান্ত গবেষণাপত্র।
এক চুমক বিয়ার পান করলে নাকি অনিদ্রার হাত থেকে রেহাই মিলবে। কারণ বিয়ার হজমের গোলমাল কমায়।জার্নাল অব এগ্রিকালচার অ্যান্ড ফুড কেমিস্ট্রিতে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণা।
বিয়ার খেলে কমে হৃদরোগের আশঙ্কা, গবেষণাপত্রে এরকম উল্লেখ থাকলেও এবিষয়ে বিশেষজ্ঞ-চিকিৎসক গৌতম বিশ্বাস বলেন, কোনও মেডিসিনের বইয়ে এই সম্ভাবনার কথা লেখা নেই।