ক্যাটরিনা যখন ‘ভগবান’। ছবি: সংগৃহীত।
জীবনের একমাত্র লক্ষ্য ক্যাটরিনা কইফের দেখা করা। তাই দীর্ঘ দশ বছর ধরে সেই স্বপ্নপূরণের চেষ্টা করে যাচ্ছেন হরিয়ানার চরখি দাদরি গ্রামের বাসিন্দা বান্টু এবং তাঁর স্ত্রী সন্তোষ। বাড়িতে কম করে হলেও ক্যাটরিনার গোটা দশেক ছবি রয়েছে। গৃহস্থ বাড়িতে ঠাকুর-দেবতার ছবি যে ভাবে রাখা থাকে, ঠিক তেমন করেই এই দম্পতি ক্যাটরিনার ছবি বাড়ির দেওয়ালে সুন্দর করে টাঙিয়ে রেখেছেন। রোজ দু’বেলা পুজোও করেন তাঁরা। আর এই সব কিছুই করেন ক্যাটরিনার সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্যে।
২০০৪ সালে প্রথম ক্যাটরিনার ছবি দেখেছিলেন বান্টু। তার পর থেকেই ক্যাটরিনাকে ভাল লেগে যায় তাঁর। সে দিন থেকে নায়িকাকে সামনে থেকে দেখার ইচ্ছা মনে জমিয়ে রেখেছেন। বিয়ের পর বান্টু জানতে পারেন, স্ত্রী সন্তোষও ক্যাটরিনার ভক্ত। দু’জনেরই আরাধ্য ‘দেবী’ হলেন ক্যাটরিনা। প্রতি বছর ক্যাটরিনার জন্মদিন পালন করেন দম্পতি। রাত ১২টায় কেক কাটেন। ক্যাটরিনার জন্মদিন উপলক্ষে গোটা গ্রামে লাড্ডুও বিতরণ করেন তাঁরা।
প্রতি দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে স্বামী-স্ত্রী দু’জনে হাতজোড় করে ক্যাটরিনার ছবির সামনে দাঁড়ান। দু’জনেরই প্রার্থনা, ক্যাটরিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করা। সাত বছর বিয়ে হয়েছে দু’জনের। বিয়ের পর থেকে কোনও দিনই এই নিয়মের এ দিক-ও দিক হয়নি। সন্তোষের কথায়, ‘আমি বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি এসে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আমি অনেক দিন থেকেই ক্যাটরিনার ভক্ত। কিন্তু আমার স্বামীও যে ক্যাটরিনাকে পছন্দ করেন, সেটা আমি জানতাম না। তবে যখন জানতে পারলাম, নিশ্চিন্ত হয়েছি। আমাদের একটাই ইচ্ছা, ক্যাটরিনার সঙ্গে দেখা করার। নিশ্চয়ই কোনও না কোনও দিন আমাদের আশা পূরণ হবে।’’