ডায়াবেটিক হওয়া সত্ত্বেও কাজের ব্যস্ততায় অনেকেই অনিয়ম করে ফেলেন। ছবি: সংগৃহীত।
ডায়াবেটিকদের খাওয়াদাওয়ার বিষয়ে সবচেয়ে নিয়ম মেনে চলতে হয়। খাবার খাওয়ার অনিয়মেই শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। ঝুঁকি কমাতে তাই সতর্ক এবং সাবধান থাকা জরুরি। ডায়াবিটিস থাকলে পেট খালি রাখা ঠিক নয়। সময়মতো স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াই এই রোগের অন্যতম ওষুধ। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সকালের খাবার খাওয়া খুব জরুরি। ঠিক তেমনই ডায়াবিটিসের ক্ষেত্রে দুপুরের খাবার বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ডায়াবেটিক হওয়া সত্ত্বেও কাজের ব্যস্ততায় অনেকেই অনিয়ম করে ফেলেন। শুধুমাত্র সেই কারণেই বাড়তে থাকে শর্করার মাত্রা। দুপুরের খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে কোন ভুলগুলি এড়িয়ে চলবেন ডায়াবেটিকরা?
দেরি করে খাওয়া
ডায়াবিটিস থাকলে সময়মতো খাবার খাওয়া উচিত। সময়ে খাবার না খাওয়া রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। তাই দুপুর খাবার সময়ে খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। চিকিৎসক যদি খাবারের সময় বেঁধে দেন, তা হলে সেই অনুযায়ী খান। তা না হলে প্রতি দিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খেতে হবে।
সকাল থেকে উপোস করে থাকা
সকাল থেকে না খেয়ে থেকে একেবারে দুপুরের খাবার খাওয়ার ভুল কখনও করবেন না। অল্প হলেও সকালে খাবার খেতে হবে। সকাল থেকে পেট খালি রেখে দুপুরের খাবার খেলে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। তাই এই ভুল এ়ড়িয়ে চলুন। ভারী খাবার খেতে ইচ্ছে না করলেও অল্প ড্রাই ফ্রুটস খেয়ে নিতে পারেন।
বেশি খাবার খেয়ে নেওয়া
কী খাচ্ছেন এবং কখন খাচ্ছেন ছাড়াও ডায়াবিটিসের ক্ষেত্রে কতটা খাচ্ছেন সেটাও অত্যন্ত জরুরি। ডায়াবিটিস থাকলে খাবারের পরিমাণেও রাশ টানতে হবে। পছন্দের খাবার সামনে থাকলেও নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। অনেকেরই ধারণা, দুপুরে বেশি খেয়ে নিলেও কোনও সমস্যা হবে না। এই ভাবনা সম্পূর্ণ ভুল। ডায়াবিটিস থাকলে সব সময়ই কম খাওয়া উচিত।
বাইরের খাবার খাওয়া
ডায়াবেটিকদের বাইরের খাবার একেবারেই খাওয়া ঠিক নয়। বিশেষ করে দুপুরের মতো এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তো নয়ই। সকাল এবং দুপুরে সব সময় বাড়ির তৈরি খাবার খাওয়া প্রয়োজন। ভারী মিল নেওয়ার বদলে বাইরের ভাজাভুজি খেলে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।
নরম পানীয় খাওয়া
দুপুরের খাবার খাওয়ার আগে এবং পরে ভুলেও নরম পানীয় খাবেন না। ডায়াবিটিস হলে এই ধরনের পানীয় খেতে পুরোপুরি বারণ করে দেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু তা সত্ত্বেও মাঝেমাঝেই অনেকে স্বাদ নেন এগুলির। তবে দুপুরের দিকে রঙিন কোনও পানীয় না খাওয়াই শ্রেয়।