ইটালির শিল্পী মাউরিজিও ক্যাটেলানের চিত্র প্রদর্শনী চলছিল ওই মিউজ়িয়ামে। ছবি- সংগৃহীত
চিত্র প্রদর্শনী ছিল দক্ষিণ কোরিয়ার সিওলের লিউম মিউজ়িয়ামে। প্রচুর মানুষের সমাগম। হঠাৎ উধাও শিল্পকীর্তি। খোঁজ শুরু হল। দেখা গেল প্রদর্শনীতে রাখা একটি পাকা কলা খেয়ে নিয়েছেন এক ছাত্র। প্রায় ৯৯ লক্ষ টাকা দামের শিল্পকীর্তি গলাধঃকরণ করে তাঁর স্বীকারোক্তি, ‘‘খুব খিদে পেয়েছিল!’’ নিজের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন ওই ছাত্র। তবে খিদের কাছে তিনি অসহায় ছিলেন বলে জানিয়েছেন।
একাধিক প্রতিবেদন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইটালির শিল্পী মাউরিজিও ক্যাটেলানের চিত্র প্রদর্শনী চলছিল ওই মিউজ়িয়ামে। দেওয়ালে টেপ দিয়ে লাগানো ছিল একটি কলা। ‘কমেডিয়ান’ নামে তাঁর ওই শিল্পকর্ম বিক্রি হয়েছে প্রায় ৯৯ লক্ষ টাকায়। শিল্প অনুরাগীরা সেই কীর্তি দেখতে গিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন নোহ হুয়ান-সু নামে ওই ছাত্রটিও। কলা খেয়ে ছাত্রের দাবি, ওটাও যে শিল্পকর্ম, তা তিনি বুঝতেই পারেননি। তাই দেওয়াল থেকে তুলে কলাটি খেয়ে ফেলেছেন। পরে কর্তৃপক্ষের তরফে ওই একই জায়গায় নতুন একটি পাকা কলা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে গোটা বিষয়টিকে তাঁরা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখেছেন। জানাচ্ছেন, ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে কোনও আইনি পদক্ষেপ করছেন না।
আর নোহ ক্যাটেলানের শিল্পকীর্তি খেয়ে নেওয়ার পর বলেন, “ওঁর কাজ একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ। সেই বিদ্রোহের বিরুদ্ধে আরও বিদ্রোহ হতে পারে।’’ তাঁর সরস মন্তব্য, ‘‘একটি শিল্পকর্মের ক্ষতি করাকেও আর একটি শিল্পকর্ম হিসাবে দেখা যেতে পারে। তবে আমি ভেবেছিলাম, এটা বোধ হয় সত্যিই খাওয়ার জন্য ওখানে টেপ দিয়ে লাগানো হয়েছে।’’ এর আগে ২০১৯ সালেও শিল্পী ডেভিড দাতুনা, মায়ামির আর্ট বাসেলে দেওয়াল থেকে কলা টেনে নিয়ে খেয়ে নিয়েছিলেন। সে বারও কর্তৃপক্ষ কোনও পদক্ষেপ করেননি। এ ঘটনার পর মিউজ়িয়াম কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, ওই একই জায়গায় একটি নতুন পাকা কলা সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা এ-ও জানান, পাকা কলাটি দু’-তিন দিন অন্তর বদলে দেওয়া হয়।