আড্ডার সময় যদি বাড়তে থাকে, স্বাভাবিক ভাবেই কাজের ক্ষতি হয়, তাই কর্মীদের উদ্দেশে কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে দেশেরই এক সংস্থা। ছবি: সংগৃহীত।
গোটা দিনের মধ্যে প্রায় অর্ধেকটা কেটে যায় কর্মক্ষেত্রেই। কাজের চাপ, প্রতিযোগিতা থাকলেও দীর্ঘ দিন এক সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে অনেকের সঙ্গেই বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। কারও ক্ষেত্রে সম্পর্ক এমন হয় যে, তাঁরা শুধু সহকর্মী নন, কাছের মানুষ হয়ে ওঠেন। এমন অনেক অফিসেই দেখা যায় যে, কাজের সময়ে ধূমপান বা খাওয়ার বিরতি নিয়েও তাঁরা আড্ডায় মশগুল হয়ে উঠছেন। তবে আড্ডার সময় যদি বাড়তে থাকে, স্বাভাবিক ভাবেই কাজের ক্ষতি হয়। তাই কর্মীদের উদ্দেশে কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে দেশেরই এক সংস্থা। সেই ছবি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে সম্প্রতি।
কাজের সময়ের মধ্যে যদি কাউকে অন্য কর্মীর সঙ্গে গল্পগুজব করতে দেখা যায়, তৎক্ষণাৎ যেন তা কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। ছবি: সংগৃহীত।
ওই সংস্থারই এক কর্মী তাঁর সমাজমাধ্যমে সংস্থার ঊর্ধ্বতনের তৈরি করা নতুন নীতির ছবি তুলে পোস্ট করেছেন। ছবিতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, সাদা কাগজে ছাপা নিয়মাবলি। যেখানে লেখা রয়েছে, “সকল কর্মীর উদ্দেশে জানানো হচ্ছে, কাজ কোনও ভাবেই মজার জিনিস নয়। কাজের সময়ে অকাজের আলোচনা বরদাস্ত করা হবে না। বন্ধুত্ব করতে হবে অফিস চৌহদ্দির বাইরে। ফোন নম্বর আদান-প্রদানও হবে কাজের পরে।”
শুধু কি তাই? নির্দেশিকায় লেখা হয়েছে, কাজের সময়ের মধ্যে যদি কাউকে অন্য কর্মীর সঙ্গে গল্পগুজব করতে দেখা যায়, তৎক্ষণাৎ যেন তা কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। সমাজমাধ্যমে এই নির্দেশিকার ছবি ছড়িয়ে পড়তে উড়ে এসেছে নানা রকমের মন্তব্য। নেটাগরিকদের কাছে ওই সংস্থা ইতিমধ্যেই ‘টক্সিক’ বা 'বিষাক্ত' বলে পরিচিতি পেয়েছে। মন্তব্যকারীদের মধ্যে একজন লিখেছেন, “আমিও এই রকম একটি সংস্থায় কাজ করতাম। আমার জীবন প্রায় ধ্বংস হতে বসেছিল।” অন্য আরেক জনের মত, “দেখতে মজা লাগলেও বিষয়টি মোটেও মজার নয়।”