কিউআর কোডের বিপদ এড়াতে কী কী খেয়াল রাখবেন? ছবি: ফ্রিপিক।
বিশ্বব্যাপী অনলাইন প্রতারকদের নতুন হাতিয়ার এই কিউআর কোড। সাধারণ মানুষ থেকে নাম করা ব্যক্তিত্ব— অনেকেই নিজের অজান্তে কখনও না কখনও এই ফাঁদে পা দিয়েছেন। ইদানীং কালে অনলাইনে কেনাকাটার সময়ে কিউআর কোড স্ক্যান করতে হয় অনেক সময়েই। আর সেখানেই লুকিয়ে প্রতারণার ফাঁদ।
অনলাইনে ডেলিভারির সময়ে এই কিউআর কোড প্রতারণার শিকার হয়েছেন অনেকেই। এমনও দেখা গিয়েছে, অর্ডার না করা সত্ত্বেও বাড়িতে এসে হাজির হয়েছে কোনও পার্সেল। সেখানে প্রাপককে জানানো হয়েছে, ভুলবশত সেই পার্সেল চলে গিয়েছে তাঁর ঠিকানায়। প্রতারকেরা প্রাপকের ফোন নম্বর নিয়ে খুব কম টাকায় সেই জিনিসটি বিক্রির লোভও দেখিয়েছে। তার পর প্রাপকের নম্বরে কিউআর কোড পাঠিয়ে সেটি স্ক্যান করতে বলেছে। প্রতারকদের কথায় বিশ্বাস করে সেই কোডে স্ক্যান করা মাত্রই অ্যাকাউন্ট ফাঁকা হয়ে গিয়েছে।
মুঠোফোনের দৌলতে টাকা দেওয়া-নেওয়া হোক বা কোনও বিষয়ে বিস্তারিত খবর নেওয়া, কিউআর কোড যেন সব কিছুর সহজ সমাধান। বাজারে আসা নতুন মোবাইল, গাড়ি কিংবা বাড়ি, মোবাইলে সহজে চোখ বুলিয়ে নিতে রোজ শয়ে-শয়ে মানুষ স্ক্যান করেন এই কোড। আর এই কিউআর কোডকেই প্রতারণার নতুন হাতিয়ার করে নিচ্ছে জালিয়াতরা। এমনকি, রাস্তায় যেতে যেতে হোর্ডিং-বিজ্ঞাপনের কিউআর কোড দেখে তা স্ক্যান করলেও কিন্তু ঘটে যেতে পারে বিপদ। প্রসাধন সামগ্রী থেকে বাড়ি বিক্রি, বিজ্ঞাপনের সঙ্গে প্রায়শই জুড়ে থাকে একটি কিউআর কোড। চোখধাঁধানো কিউআর কোড স্ক্যান করে নেওয়ার আগে অনেকেই দু’বার ভাবেন না। এমন কোড স্ক্যান করলেই নিমেষে উধাও হয়ে যেতে পারে ব্যাঙ্কে গচ্ছিত টাকা। বেহাত হতে পারে ব্যক্তিগত তথ্য।
কিউআর কোডের বিপদ এড়াতে কী কী খেয়াল রাখবেন?
১) কিউআর কোড সাধারণত টাকা দেওয়ার সময়ে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু টাকা নেওয়ার সময়ে যদি কেউ কিউআর কোড স্ক্যান করতে চান, তা এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।
২) যে সংস্থা থেকে জিনিস কিনছেন, সেটির অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে যদি কিউআর কোড পাঠানো হয়, তবেই তা স্ক্যান করবেন। নিজে না বুঝতে পারলে অভিজ্ঞ কারও সাহায্য নিন।
৩) কাউকে নিজের ইউপিআই আইডি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য বা ওটিপি জানাবেন না।
৪) টাকা পাঠানোর আগে অবশ্যই গ্রাহকের নাম, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত তথ্য মিলিয়ে দেখে নিন।
৫) কিউআর কোড স্ক্যান করার সময় খেয়াল করে দেখুন সরাসরি অ্যাপ থেকে স্ক্যান কোড দেওয়া হচ্ছে কি না। যদি তা না নয়, তা হলে সেই কোড ভুলেও স্ক্যান করবেন না।