পাতলা মাছের ঝোল হোক কিংবা মুড়িমাখা, ফুচকা— ধনেপাতা পড়লেই স্বাদ বেড়ে যায় কয়েক গুণ। ছবি: সংগৃহীত।
কালোজিরে ফোড়ন দিয়ে পাবদা মাছের ঝোল বানালেন, কিন্তু তেমন স্বাদ হল না? সামান্য ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে দিলেই রান্নায় এক অন্য মাত্রা যোগ হয়ে গেল। ডাল, তরকারি, পাতলা মাছের ঝোল হোক কিংবা মুড়িমাখা, ফুচকা— ধনেপাতা পড়লেই স্বাদ বেড়ে যায় কয়েক গুণ। স্বাদ ও স্বাস্থ্যগুণে নিত্যব্যবহার্য মশলার মধ্যে অন্যতম এটি।
হঠাৎ ঠিক করলেন বাড়িতেই আলুকাবলি বানাবেন। ফ্রিজ খুলেই দেখলেন ধনেপাতা তো নেই! তখন আর বিরক্তির শেষ থাকে না। আবার ছুটতে হল বাজারে। রোজের রান্নায় প্রতিনিয়ত ব্যবহারে আসে এই পাতা। অথচ ফ্রিজে বেশি করে ধনেপাতা মজুত রাখলেও বিপদ! দিন দুয়েকের মধ্যেই পচে যায় এই পাতা। তবে মজুত করার সঠিক পন্থা জানলেই মাসের পর মাস টাটকা থাকবে ধনেপাতা। ভাবছেন কী করে?
১) বাজার থেকে বেশি করে টাটকা ধনেপাতা কিনে আনুন। পচা পাতা কিংবা শিকড় থাকলে বেছে পরিষ্কার করে নিন। এ বার একটি বড় পাত্রে জল নিয়ে তাতে সমান্য নুন আর হলুদ মিশিয়ে নিন। ধনেপাতাগুলি সেই জলে এক ঘণ্টা ডুবিয়ে রাখুন।
২) ঘণ্টা খানেক পরে জল থেকে ধনেপাতাগুলি তুলে টিস্যু পেপারের উপর বিছিয়ে রেখে শুকনো করে নিন। শুকিয়ে গেলে কুচি করে কেটে নিন।
৩) এ বার কুচোনো পাতাগুলি গরম জলে দু’মিনিট ভাপিয়ে নিন। খুব বেশি ক্ষণ ভাপ দিলে ধনে পাতার সবুজ রং ফ্যাকাশে হয়ে যাবে।
সামান্য ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে দিলেই রান্নায় এক অন্য মাত্রা যোগ হয়। ছবি: সংগৃহীত।
৪) এর পর জল ঝরিয়ে ফের পাতাগুলি শুকিয়ে নিন। ভাল করে শুকিয়ে নিয়ে ধনেপাতাগুলি জিপলক পাউচে বা বাতাস ঢুকবে না এমন কৌটে ভরে রাখুন।
৫) এ বার ডিপ ফ্রিজে ভরে রাখুন। এ ভাবে সংরক্ষণ করলে এক বছর পর্যন্ত ভাল থাকবে ধনেপাতা। রান্নার সময়ে পরিমাণ মতো বার করে ফের ফ্রিজে রেখে দিন।
যদি সপ্তাহখানেক ধনে পাতা ভাল রাখতে চান, তা হলে বাজার থেকে ধনেপাতা এনে টিস্যুপেপারের উপর বিছিয়ে প্লাস্টিকের কৌটে ভরে ফ্রিজে রাখুন।