ত্বকের যত্নে আর অবহেলা নয়! ছবি: শাটারস্টক।
পুজোর কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে, এখনও কি ম্যাড়মেড়ে ত্বক আর লাবণ্যহীন চেহারা নিয়ে ভাববেন না? এখনও না ভাবলে আর কবে! এমনিতেই সারা বছর আপনার ব্যস্ততার সঙ্গে পাল্লা দেয় আপনার ত্বক। রোদে পোড়া থেকে বৃষ্টিতে ভেজা সবেতেই সে অংশ নেয়। খুব একটা বাইরে না বেরলেও এসি-র হাওয়া, সূর্যের আলো এ সব থেকে ত্বককে বাঁচানো যায় না মোটেই।
আর যত্ন বলতে তো কেবল মাসান্তে পার্লারে গিয়ে এক বার ফেসিয়াল বা স্পা। ব্যস্ততা পেরিয়ে তা-ও নিয়ম মেনে হয় কই? ফলে নিষ্প্রাণ ত্বক আর নানা দাগছোপ ঘিরে তৈরি হয় মনখারাপ। তবে নিজেকে নিরুপায় ভাবার কোনও কারণ নেই। পুজোর আগে আপনার ত্বককে সুন্দর ও উজ্জ্বল করে তোলার উপায় অবলম্বন করুন, সহজেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।
রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে হাতে মিনিট পাঁচেক সময় আছে তো? তা হলেই চলবে এই পাঁচ মিনিটেই আপনি পেতে পারেন নরম, উজ্জ্বল ত্বক— জানালেন রূপ বিশেষজ্ঞ সালমা বানু।
আরও পড়ুন: চাকরির ইন্টারভিউতে এ সব জিনিস রাখুন সঙ্গে, খুশি হবেন পরীক্ষকরা
প্রতি দিন একটু করে জোয়ান, আর তাতেই মিলবে এ সব উপকার!
প্রতি দিন রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ক্লেনজার দিয়ে ভাল করে মুখ পরিষ্কার করুন। এর পর লাগান টোনার। যে কোনও ধরনের ত্বকের জন্য গোলাপ জলের চেয়ে ভাল টোনার আর হয় না। তাই খুব বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষায় না গিয়ে গোলাপ জলেই আস্থা রাখুন। একটি তুলোর বলে ঠান্ডা গোলাপ জল নিয়ে তা দিয়ে ভাল করে টোন করুন মুখ ও শরীরের নিরাবরণ অংশ। জীবাণুনাশক টোনার ব্যবহার করতে হলে গ্রিন টিয়ের সঙ্গে টি ট্রি তেল মিশিয়ে নিতে পারেন। এ বার ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন। বয়স পঁয়ত্রিশ না হলে অ্যান্টি এজিং ক্রিম বা সেরাম ব্যবহার করবেন না। ত্বকের বয়সের উপরেও নির্ভর করে কী ক্রিম মাখবেন, কী মাখবেন না। সেটা নজরে রাখুন। বরং তেলা ত্বক হলে অ্যান্টি পিগমেন্টেশন ক্রিম ব্যবহার করুন। যাঁরা পঁয়ত্রিশের উপর, তাঁরা অ্যান্টি এজিং ব্যবহার করবেন। খুব ভাল করে ত্বকে মিশিয়ে নিন তা। এতে ফ্ল্যাভোনয়েডস, পলিফেনলস ইত্যাদি থাকায় তা ত্বকে বুড়োটে ভাব আসতে দেয় না। টানটান রাখে চামড়া। ভাল ফল পেতে ক্রিমের বদলে সেরাম ব্যবহার করুন। এর পর কয়েক ফোঁটা ফেসিয়াল তেল আঙুলে নিন। নাক থেকে কানের দিকে মাসাজ করুন। এক বার ঘড়ির কাঁটার দিকে ও আরেক বার তার বিপরীত দিকে। এতে ত্বকে ঔজ্জ্বল্য আসে ও বেশি ক্ষণ ক্রিম ধরে রাখতে পারে ত্বক। আমরা অনেকেই অনেক রাতে খুব ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরলে আর মেক আপ তোলার চেষ্টা করি না। এই ভুল আর নয়। যত ক্লান্তই থাকুন, ত্বক পরিষ্কার রাখতে নিয়মিত মেক আপ তুলুন। অন্যথায় চামড়ায় এই মেক আপ বসে যায় ও ত্বকের ভীষণ ক্ষতি করে।