লাল: লাল চন্দন লাল রং হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। লাল জবা ফুল রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিন।<br> পরিমাণ বাড়াতে ট্যালকম পাউডার মিশিয়ে নিন। তরল রং পেতে লাল চন্দন বা চুন জলে গুলে নিতে পারেন।<br> বেদানার খোসা জল ফুটিয়ে অথবা টোম্যাটো বা গাজরের রস জল মিশিয়ে পাতলা করেও ব্যবহার করতে পারেন।
হলুদ: গুঁড়ো রং তৈরি করতে হলে দু’ভাগ হলুদের সঙ্গে চার ভাগ বেসন মিশিয়ে তৈরি করে নিন হলুদ রং।<br> তরল রং তৈরি করতে হলে শুকনো গাঁদা ফুলের পাঁপড়ি গুঁড়ো করে জলে মিশিয়ে নিন।
সবুজ: হেনা পাউডারের সঙ্গে সাদা পাউডার মিশিয়ে পেয়ে যেতে পারেন সবুজ রং।<br> তবে খেয়াল রাখবেন হেনার সঙ্গে যেন আমলা মেশানো না থাকে। তাহলে সবুজের বদলে বাদামি রং পাবেন।<br> তরল রং পেতে হলে নিম, ধনেপাতা, পালং বা পুদিনা বেটে জলে সিদ্ধ করেও বানাতে পারেন।
কমলা: পলাশ ফুলের শুকনো পাঁপড়ি গুঁড়ো করে নিন। পরিমাণ বাড়াতে মিশিয়ে নিন সাদা পাউডার।<br> তরল রং পেতে হলে পলাশের পাঁপড়ি ফলে ফুটিয়ে নিতে পারেন। অথবা কেশর জলে ভিজিয়ে বেটে নিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন। হেনা জলে গুললেও পেয়ে যাবেন কমলা রং।
গোলাপি: ১-২ কেজি বিটরুট গ্রেট করে ফুটিয়ে নিন।<br> সুন্দর গোলাপি রং পেয়ে যাবেন।<br> আধ লিটার জলে ১০-১৫টা গোলাপি পেঁয়াজের খোসা ফুটিয়ে ছেঁকে নিলেও পেয়ে যাবেন গোলাপি রং।
নীল: নীল গুলমোহর বা অপরাজিতা ফুলের পাঁপড়ি শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিন।<br> পরিমাণ বাড়াতে মিশিয়ে নিন সাদা পাউডার।<br> তরল রং বানাতে চাইলে ব্যবহার করতে পারেন ব্লু বেরির রস।
বাদামি: গুঁড়ো রং পেতে চাইলে হেনা ও আমলা পাউডার মিশিয়ে নিন।<br> অথবা গুঁড়ো কফির সঙ্গে সাদা পাউডার মিশিয়ে নিন।<br> যদি তরল রং চান তাহলে চা, কফি বা খয়ের জলে ভিজিয়ে বানিয়ে নিন।
কালো: দোল খেলার জন্য এই রং বেশি জনপ্রিয় না হলেও অনেকে আবার কালো বন্ধুদের সঙ্গে কালো রং মেখে ভূত হয়ে দোল খেলতে ভালবাসেন। আমলা লোহার কড়াইতে ফুটিয়ে সারা রাত রেখে দিন।<br> সকালে জলের সঙ্গে মিশিয়ে পাতলা করে নিন। কালো আঙুরের রসও ব্যবহার করতে পারেন। চটচটে ভাব কমাতে জল মিশিয়ে নিন।