পিসিওএসের উপসর্গ ধরা পড়ে মুখেও। ছবি: শাটারস্টক।
অনিয়মিত ঋতুস্রাব, খাওয়াদাওয়া নিয়ন্ত্রণে রেখেও ওজন বেড়ে যাওয়া, ঋতুস্রাব চলাকালীন তলপেটে অসহ্য যন্ত্রণা— অনেক মেয়ের শরীরে এই উপসর্গগুলি দেখা যায়। এই রোগের পোশাকি নাম পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম, সংক্ষেপে পিসিওএস। এই অসুখে মহিলাদের শরীরে হরমোনের তারতম্য ঘটে। সমস্যা বাড়তে থাকলে তা কিন্তু ক্রমেই বন্ধ্যাত্বের দিকে চলে যেতে পারে। পিসিওএসকে জব্দ করার একমাত্র উপায় সুস্থ ও নিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা। এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধলে কী দেখে সতর্ক হবেন?
শরীরে বিভিন্ন হরমোনের মাত্রা ওঠানামা করলে, মুখের উপরেও তার প্রভাব পড়ে। ব্রণের সমস্যা বেড়ে যায়। মুখে সেবাম নিঃসরণের হারও বেড়়ে যায়। ফলে ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত হয়ে পড়ে। সাধারণত চোয়াল, থুতনি, গলার উপর, পিঠে বা ঘাড়ে যদি ব্রণ হয়, তা হলে সতর্ক হোন। এ ছাড়াও ত্বকে জেল্লার অভাব, মুখের এক একটি অংশ অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়ার মতো সমস্যাও দেখা যায়। মুখে রোমের আধিক্য হঠাৎ বেড়ে গেলেও সতর্ক হতে হবে। পিসিওএসের অন্যতম এই উপসর্গ অবহেলা করলে চলবে না।
পিসিওএসে আক্রান্ত হলে আর কোন কোন উপসর্গ দেখে সতর্ক হবেন?
১) অনিয়মিত ঋতুস্রাব
২) সন্তানধারণে সমস্যা হওয়া
৩) অকালে চুল ঝরতে শুরু হওয়া
৪) ওজন বেড়ে যাওয়া
৫) মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা বাড়লেও সতর্ক হতে হবে
পিসিওএসে আক্রান্ত হলে শরীরে সাধারণত রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। তাই মিষ্টি খেতেও ইচ্ছা হয়।