কোন কেশর আসল? ছবি: সংগৃহীত।
রান্নার স্বাদ, বর্ণ এবং গন্ধ বাড়িয়ে তুলতে জাফরান বা কেশরের জুড়ি মেলা ভার। লখনউ ঘরানার বিরিয়ানি হোক বা খাঁটি বাংলার পোলাও, সামান্য কেশর যোগ করলেই তার স্বাদ বদলে যায়। কিন্তু বিশ্বের সবচেয়ে দামি মশলাগুলির মধ্যে অন্যতম হল কেশর। দাম অনেকটাই বেশি হলেও এর চাহিদা কিন্তু কম নয়। বাজারে বিভিন্ন সংস্থার কেশর এখন কিনতে পাওয়া যায়। কিন্তু সেই কেশর আসল কি না, বুঝবেন কী করে?
১) আসল বা ভাল মানের কেশর জলে ভেজানো মাত্রই তা থেকে সঙ্গে সঙ্গে হলুদ রং বেরোয় না। বেশ কিছু ক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু ভেজাল মেশানো কেশর জলে পড়তেই সঙ্গে সঙ্গে লালচে হলুদ রং বেরোতে শুরু করে।
২) ভাল মানের কেশর মুখে দিয়ে পরীক্ষা করা যেতে পারে। কারণ, আসল কেশর মুখে দিলেই তার মিষ্টত্ব টের পাওয়া যায়। সঙ্গে মধুর মতো গন্ধও থাকে। ভেজাল বা রং মেশানো কেশরের মধ্যে স্বাদ বা গন্ধ, কোনওটিই থাকে না।
৩) আসল কেশরের রং কালচে লাল রঙের। কেশরের দুই প্রান্ত ধরে হাত দিয়ে টানলে খানিকটা রবারের মতো লাগে। আসল কেশরের মধ্যে খানিকটা আর্দ্র ভাবও থাকে। কিন্তু ভেজাল মিশ্রিত কেশরের মধ্যে এই ধরনের কোনও বৈশিষ্ট্যই থাকে না।
ভাল মানের কেশর মুখে দিয়ে পরীক্ষা করা যেতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
৪) ঈষদুষ্ণ জল বা দুধে কেশরের কয়েকটি সুতো ভিজিয়ে রাখলে ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর তা থেকে রং ছড়াতে শুরু করে। কিন্তু নকল কেশর সহজেই জলে দ্রবীভূত হয়ে যায়।
৫) ভেজা কাগজের উপর কেশরের কয়েকটি সুতো রাখলে সহজেই বুঝতে পারবেন তা আসল না নকল। ভেজা কাগজের উপর কেশর রাখলে তা থেকে ধীরে ধীরে হলদেটে রং ছড়াতে শুরু করবে। কিন্তু কেশরে যদি ভেজাল মেশানো থাকে তা হলে চোখের নিমেষে ভেজা কাগজ রং শুষে নেবে।