শুরু হয়ে গেল পার্টি সিজন। টানা এক সপ্তাহ এখন শুধুই হুল্লোড়। লেট নাইট পার্টির পর হ্যাঙ্গওভারে পরের দিন নষ্ট করতে না চাইলে মেনে চলুন এগুলো।
১।পানের সময় খেয়াল রাখুন- হ্যাঙ্গওভার কাটাতে পার্টিতেই পান করার সময় একটু খেয়াল রাখুন। দায়িত্ব নিয়ে পান করুন। সব ভুলে অ্যালকোহলের মাত্রা বাড়িয়ে দেবেন না। পান করার সঙ্গে সঙ্গে জল খেতে থাকুন। এতে ডিহাইড্রেশন হবে না।
২। ফ্যাটি ফুড- ফ্যাটি খাবার খেলে শরীরে অ্যালকোহলের প্রভাব কমে। ভাজা খাবার, সসেজ, পিজা জাতীয় খাবার খেলে অ্যালকোহলের প্রভাব কমবে।
৩। লাইট অ্যালকোহল- হুইস্কি বা রামের বদলে বিয়ার, রেড ওয়াইন বা ভদকা পান করুন। হালকা অ্যালকোহলে পার্টি যেমন বেশি উপভোগ করবেন, তেমনই হ্যাঙ্গওভারও কম হবে।
৪। সব রকম এক সঙ্গে নয়- পার্টি মুডে অনেকেই সব রকম ড্রিঙ্ক নিয়ে ফেলেন। এমনটা একেবারেই করবেন নান যে কোনও এক রকম পানীয়ে সীমাবন্ধ থাকুন। ড্রিঙ্ক মেশালেই হ্যাঙ্গওভার হবে।
৫। ঘুম- পার্টি থেকে ফিরে অন্তত টানা আট ঘণ্টা ঘুমোন। হ্যাঙ্গওভার কাটাতে সবচেয়ে জরুরি বিশ্রাম। টানা ঘুমোলে হ্যাঙ্গওভার কাটবে।
৬। মধু- ঘুম থেকে এক-দুই টেবিল চামচ মধু খেয়ে নিন। হ্যাঙ্গওভার কাটবে। শরীর গরম রাখবে। ফলে ঠান্ডা লাগার হাত থেকেও রেহাই পাবেন।
৭। আদা- হ্যাঙ্গওভার কাটাতে মুখে এক কুচি আদা নিয়ে চিবোতে থাকুন। আদার রস আপনাকে চাঙ্গা করবে। গরম জলে আদা, মধু দিয়ে গেলেও উপকার পাবেন।
৮। ডিম- ডিমের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যামাইনো অ্যাসিড। যা হ্যাঙ্গওভার কাটাতে সাহায্য করবে।
৯। কমলা ও টমেটোর রস- অ্যালকোহল শরীরের ভিটামিন ও প্রয়োজনীয় খনিজের মাত্রা কমিয়ে দেয়। কমলা ও টমেটোর রস বা লেবুর রস শরীরে ভিটামিনের মাত্রা বজায় রাখে। হ্যাঙ্গওভার কাটে তাড়াতাড়ি।
১০। অ্যাসপিরিন- মাথা প্রচন্ড ধরে থাকলে চিন্তা না করে অ্যাসপিরিন খেয়ে নিন। গরম জলে দিয়ে অ্যাসপিরিন খেয়ে কিছুক্ষণ শুয়ে থাকলে মাথা ধরা ছাড়বে।
বাড়িতেই ক্রিসমাস পার্টি? জেনে নিন ১০ প্ল্যানিং টিপস