হেঁচকি ওঠা মানেই কেউ আমাদের মনে করছে। এটা শুনেই বড় হয়েছি আমরা। কারও হেঁচকি উঠলেই তাকে জল খাওয়ানো, হঠাত্ চমক দেওয়া, এই ভাবেই হেঁচকির কমানোর চেষ্টা করে থাকি আমরা। তবে হঠাত্ এমন এমন সময়ে হেঁচকি ওঠে যে লজ্জায় পড়ে যেতে হয়। ধরুন অফিসে জরুরু মিটিং চলছে, হঠাত্ আপনার হেঁচকি ওঠা শুরু হল। কী করবেন তখন? রইল হেঁচকির কিছু জলদি সমাধান।
১। মুখে হাত চাপা দিন। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখুন। এতে ফুসফুসে কার্বন-ডাই অক্সাইডের মাত্রা বাড়বে। হেঁচকি কমে যাবে।
২। বুক ভরে শ্বাস নিন। কিছু ক্ষণ শ্বাস ধরে রাখুন। এতেও শরীরে কার্বন-ডাই অক্সাইডের মাত্রা বাড়বে। মধ্যচ্ছদা প্রসারিত হয়ে হেঁচকি কমে যাবে।
৩। দু’হাতের আঙুল দিয়ে কান বন্ধ করে রাখুন। এতে স্নায়ুতন্ত্রে রিলাক্স করার সঙ্কেত পৌঁছবে। ফলে মধ্যচ্ছদা প্রসারিত হবে। ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড এ ভাবে কান বন্ধ করে রাখুন। হেঁচকি কমে আসবে।
৪। কয়েক মিনিট জিভ বের করে রাখুন। এতে গ্লটিসের মুখ বড় হবে। শ্বাস-প্রশ্বাস চালাতেও সুবিধা হবে, হেঁচকিও কমে যাবে।
৫। বোতল থেকে খাবেন না। গ্লাসে জল নিয়ে পরপর ১০ বার ছোট ছোট চুমুক দিন। এই ভাবে তালে তালে জল খেলে হেঁচকি কমে যাবে।
৬। গ্লাসে জল নিন। এ বারে দু’হাতের আঙুল দিয়ে কান বন্ধ করে স্ট্র দিয়ে ধীরে ধীরে জল পান করুন। দেখবেন হেঁচকি কমে আসছে।