হ্যাং হওয়া মোবাইল কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না? ছবি: সংগৃহীত।
পাহাড়ের কোলে ছবির মতো সাজানো হোম স্টে। পড়ন্ত বিকেলে মাথা দোলাচ্ছে রঙিন ফুলের দল। ফুরফুরে মেজাজে মোবাইলে সেই ছবি তুলছিলেন সুকন্যা। পাহাড়ি সৌন্দর্য উপভোগ করতে, নিজের সঙ্গে সময় কাটাতে অফবিট এক গ্রামে একাই বেড়াতে এসেছেন তিনি। ফুল, হোম স্টের ছবি তুলে বন্ধুকে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠাতে গিয়েই বিপত্তি! ফোন আর কিছুতেই কাজ করে না। মোবাইলের স্ক্রিন আটকে গিয়েছে। এমনকি, মোবাইল বন্ধ করার সুইচটাও কাজ করছে না।
বিদেশ-বিভুঁইতে একা তিনি। মোবাইল তো কোনও সাধারণ গ্যাজেট নয়, তা যেন প্রাণভোমরা। বাড়ি ফেরার টিকিট থেকে আগামী দিনে কোন হোম স্টে-তে যাবেন, তার নাম, যোগাযোগ নম্বর সবই মুঠো ফোনে বন্দি। এমনকি, ইউপিআই পেমেন্টও ফোন ছাড়া অসম্ভব।
সমস্যা শুধু সুকন্যার নয়। এমন সমস্যায় পড়েন অনেকে। এই যেমন ধরুন ছেলের অনলাইন পরীক্ষা। আচমকা ফোন গেল আটকে। কিছুতেই সেই ফোন ঠিক হয় না। কিংবা অফিসের জরুরি মিটিং। কল কানেক্ট করবেন বলে প্রস্তুত হচ্ছেন, আচমকা মুঠোফোন হ্যাং করল। শেষ মুহূর্তে মোবাইল সারাইয়ের দোকানে যাওয়ার সময় কোথায়?
মোবাইল মানে এখন শুধু আর কথা বলার যন্ত্র নয়, অফিস-কাছারি থেকে পড়াশোনা, ব্যাঙ্কের কাজ, ট্রেনের টিকিট কাটা, সবই এখন মুঠোফোনের এক ক্লিকে হয়।
তাই আচমকা মোবাইল হ্যাং করা মানে ক্ষেত্র বিশেষে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়া। ঠিক যেমন হয়েছিল সুকন্যার। পাহাড়ি গ্রামে মোবাইলের কোনও দোকানও ছিল না। এমন ক্ষেত্রে কী করণীয়?
শেষ মুহূর্তে সুকন্যার সঙ্গে থাকা অতিরিক্ত ফোন তাকে কিছুটা সাহায্য করেছিল। সেই ফোনে সিম না থাকলেও হোম স্টের ওয়াই-ফাইয়ের সাহায্যে ইউটিউব ঘেঁটে সে হ্যাং হয়ে যাওয়া ফোন আবার চালু করার উপায় খুঁজে পেয়েছিল।
কী সেই সমাধান?
মোবাইলের শব্দ বাড়ানো ও কমানোর বোতাম ও পাওয়ার বোতাম, সব একসঙ্গে ১০ সেকেন্ড টিপে ধরে রাখতে হবে। তার পরেই কিন্তু ফোন নিজে থেকে রিস্টার্ট নেবে। সমাধান খুব সহজ। তবে না জানা থাকলে বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়া হতেই পারে কঠিন।