সহজ কৌশলে স্বাদ বাড়বে রাজমার। ছবি: সংগৃহীত।
‘রাজমা-চাওল’ উত্তর ভারতের জনপ্রিয় খাবার হলেও, তা বহু দিন ঢুকে পড়েছে বাঙালির হেঁশেলে। ভাত আর রাজমা খাওয়ার চল সে ভাবে তৈরি না হলেও, উপকারিতার কথা মাথায় রেখে অনেকেই রুটি অথবা পরোটা দিয়ে রাজমা খান।
বাড়িতে রাজমা রান্না করেছেন। কিন্তু মুখে লেগে থাকার মতো স্বাদ কখনও হয়নি? তা হলে অনুসরণ করুন সহজ কয়েকটি কৌশল। প্রতিটি ধাপ ঠিক ভাবে মানলে স্বাদ ভাল হতে বাধ্য।
১। রাজমা রান্নার আগে তা অন্তত ঘণ্টা আটেক ভিজতে দেওয়া জরুরি। অনেকে তাড়াহুড়োয় সেই সময়টা দেন না। প্রেশার কুকারে সেদ্ধ করে নেন। এতে রাজমা সেদ্ধ হলেও, ভিজিয়ে রাখলে যে স্বাদ আসে, সেটা সব সময় আসে না। বরং ভিজিয়ে রাখা রাজমা রান্না করতে সময় কম লাগে।
২। কোনও রান্নাই খুব বেশি তাড়াহুড়োয় ঠিকঠাক হয় না। রাজমাতেও স্বাদ আনতে হলে, মশলা কষিয়ে নেওয়ার পর ঢিমে আঁচে ফুটতে দিতে হবে। একটু সময় নিয়ে রান্না করলে রাজমার মধ্যে ঝোলের স্বাদ ঠিক ভাবে মিশবে। রান্নার সময় বেশি খুন্তি দিয়ে নাড়াচাড়া করলে সেটি ভেঙে যেতে পারে।
৩। রাজমা সেদ্ধ করার সময় জলে এক চিমটে বেকিং সোডা মিশিয়ে দিতে পারেন। এতে দ্রুত তা সেদ্ধ হয়ে যাবে। তবে পরিমাণ অতি সামান্যই দিতে হবে। না হলে খাবারের স্বাদ নষ্ট হতে পারে।
৪। রাজমা সেদ্ধ করার সময় সামান্য একটু তেল মিশিয়ে দিন জলে। রাজমার গায়ে তেলের পরত লেগে থাকলে সেটি নরম থাকবে এবং খেতেও ভাল লাগবে। তা ছাড়া নুন যোগ করুন রাজমা খানিকটা সেদ্ধ হয়ে যাওয়ার পরে। রাজমা রান্নায় টম্যাটোর ব্যবহার জরুরি। কিন্তু কুচিয়ে নয়, ভাল স্বাদ আনতে হলে টম্যাটো বাটা দিন।
৫। রান্নার পর বেশ কিছু ক্ষণ রাখলে খাবারের স্বাদ বাড়ে। তার কারণও আছে। যত সময় যায় রাজমা খানিকটা ঝোল টেনে নেয়। ফলে রান্না করার অন্তত আধ-এক ঘণ্টা পরে সেই খাবার পরিবেশন করুন। রান্না করে পরের দিন খেলে সেই স্বাদ কিন্তু আরও বাড়বে।