প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
স্মার্টফোনেই এখন যাবতীয় কাজ সেরে ফেলছেন সকলে। নানা রকম কাজের জন্যে নানা ধরনের অ্যাপ ভর্তি আমাদের ফোনে। সেই কারণে ইন্টার্নাল স্টোরেজ অনেকটাই শেষ হয়ে যায়। তাই কয়েকটা গান বা ছবি সেভ করে রাখতে না রাখতেই ফোন জানান দেয় যে স্টোরেজ স্পেস শেষ হয়ে আসছে। তাই অনেকে এক্সটার্নাল মেমোরি কার্ড কিনে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে সকলেরই সেই উপায়ও নেই। কী করে এই বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়? রইল কিছু সহজ উপায়।
১। যে অ্যাপগুলি আপনার নিত্য প্রয়োজনে লাগে না, সেগুলি প্রথমেই ডিলিট করে ফেলুন। অনেক অহেতুক অ্যাপ আমরা নামিয়ে ফেলি, কিন্তু কাজে লাগে না। দীর্ঘ দিন হয়তো খুলেও দেখলাম না। সেগুলি খালি খালি ফোনের জায়গা জুড়ে বসে থাকে।
২। অ্যান্ড্রোয়েড ফোনের জন্য স্মার্ট ক্লিনারের অ্যাপ প্লে স্টোরে পাওয়া যায়। রেটিং বেশি এমন কোনও ক্লিনার নামিয়ে নিন। নিয়মিত ক্লিনারের মাধ্যমে স্টোরেজ স্পেস ক্লিয়ার করুন। এতে নতুন ছবি, গান, ভিডিয়ো নামিয়ে সেভ করার জায়গা পাবেন। আবার ফোনও তাড়াতাড়ি কাজ করবে। হ্যাং করার সম্ভাবনা কমবে।
প্রতীকী ছবি।
৩। ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহার করলে ফোনের ইন্টার্নাল স্টোরেজ বাঁচবে। ইদানীং অনেক ফোনে ছবি সরাসরি গুগ্ল ফোটোজ’এ স্টোর হয়। আবার নিজস্ব ফোন গ্যালারিতেও হয়। যেগুলি ক্লাউডে রয়েছে, সেগুলি দ্বিতীয়বার ফোনে রাখবেন না। তবে ক্লাউড স্পেসও অফুরন্ত নয়। সেটা শেষ হয়ে গেলে মূল্য দিয়ে বাড়তি স্পেস কিনতে হবে। তাই একটু খেয়াল রাখুন একই ছবি কত বার সেভ হচ্ছে। অনেক সময় কোনও ছবি তোলার পর সেই ছবি একটা এডিটিং অ্যাপে দিলে সেটার আলাদা ছবি সেভ হয়। তারপর সেটা ইনস্টাগ্রামে আপলোড করলে সেটার আরেকটা ছবি গ্যালারিতেও সেভ হয়। তাই বাড়তি ছবি সঙ্গে সঙ্গে ডিলিট করে ফেলার অভ্যাস তৈরি করুন।
৪। ক্যাশে নিয়মিত পরিষ্কার করেন কি? প্রত্যেকটা অ্যাপ আপনি যত ব্যবহার করবেন, সে নিজের মতো একটা মেমোরি তৈরি করবে যাতে পরের বার আরও দ্রুত সেই কাজটা করে ফেলা যায়। ধরুন আপনি রোজ সকালে গুগ্লে গিয়ে আনন্দবাজার অনলাইনে খবর পড়েন। ‘আন’ শব্দটি টাইপ করতে না করতে বাকিটা এসে যায়। এর কারণ গুগ্ল মেমোরি থেকে জানতে পারছে আপনি কি দেখায় অভ্যস্ত। এটাকেই বলে ক্যাশে মেমোরি। এগুলি যত জমে ফোনের ইন্টার্নাল মেমোরি তো ভর্তি হয়ে যায়। তাই ক্লিনারে ক্লিন করার সময়ে দেখবেন ক্যাশে মুছে ফেলার আলাদা উপায় থাকে। সেটা ক্লিক করে মাঝেমাঝেই ক্যাশে মুছে ফেলুন।