মোরিঙ্গা দৈনন্দিন খাবারে কী ভাবে যোগ করতে পারেন? ছবি: ফ্রিপিক।
স্বাস্থ্য সচেতন মানুষজন ইদানীং খাদ্যতালিকায় রাখছেন মোরিঙ্গা পাউডার। সমাজমাধ্যমেও এখন চর্চা এই গুঁড়োটি নিয়ে। শরীর ভাল রাখতে অনেকেই মোরিঙ্গা খাচ্ছেন। অনলাইনে কৌটোবন্দি গুঁড়োটি বিক্রিও হচ্ছে।
আসলে কী এই মোরিঙ্গা? এটি হল সজনেপাতার গুঁড়ো। বাংলার হেঁশেলে সজনে ডাঁটা, ফুল খাওয়ার চল থাকলেও, এই পাতা নিয়ে কোনও দিনই মাতামাতি ছিল না। তবে সজনে পাতার গুণপনা জানার পরেই এ নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা।
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, প্রোটিন, ফাইবার, ক্যালশিয়াম, আয়রন, জ়িঙ্ক, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়ামের মতো জরুরি বেশ কিছু খনিজ রয়েছে সজনে পাতায়। অ্যামাইনো অ্যাসিড এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ সজনেপাতার গুঁড়ো ত্বক ঝকঝকে এবং টানটান রাখতে সাহায্য করে।
কিন্তু দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় কী ভাবে জুড়বেন মোরিঙ্গা?
স্যুপ: মোরিঙ্গা দিয়ে স্যুপ বানিয়ে নিতে পারেন। কড়াইয়ে জিরে, গোলমরিচ ফোড়ন দিয়ে তাতে পেঁয়াজ, টম্যাটো নাড়াচাড়া করে সজনেপাতা বা মোরিঙ্গা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিন। স্বাদমতো নুন ও প্রয়োজন মতো জল দিয়ে ফুটতে দিন। সমস্ত উপকরণ ফুটে গেলে মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিন। তা হলেই তৈরি হয়ে যাবে স্যুপ।
মোরিঙ্গা পরোটা: কড়াইয়ে সামান্য তেলে জিরে ফোড়ন দিয়ে সজনেপাতা নুন, হলুদ দিয়ে নাড়াচাড় করে নিন। যোগ করুন নুন এবং সামান্য চাট মশলা। এ বার এই পাতা দিয়ে পরোটার জন্য আটা মেখে নিন। তার পর অল্প তেলে ভেজে নিন। চাইলে ভাজা সজনেপাতা পরোটার মধ্যে পুর হিসাবেও ব্যবহার করতে পারেন।
মোরিঙ্গা চা: এক কাপ জলে ১ চা-চামচ মোরিঙ্গা গুঁড়ো ফুটিয়ে নিন। ‘চা’ বললেও এতে চা পাতার ব্যবহার হবে না। ফোটানো জলটি ছেঁকে পানীয় হিসাবে খান। গ্যাস, পেটফাঁপা, অম্বল, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা নিরাময়ে দারুণ কাজ করে সজনেপাতা। অন্ত্রে উপকারী ব্যাক্টেরিয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতেও সাহায্য করে।