সিজন চেঞ্জের সময়ে গলা ব্যথা, খুকখুক কাশি সর্বক্ষণের সঙ্গী।
এই রোদ তো এই বৃষ্টি। আর সিজন চেঞ্জের এ সময়ে গলা ব্যথা, খুকখুক কাশি যেন সর্বক্ষণের সঙ্গী। হাতের কাছে ঘরোয়া পথ্য ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
* গরম জলে এক টেবিল চামচ নুন বা বেটাডিন দিয়ে গার্গল করুন।
* একটা পাত্রে তিন-চার কাপ জল নিয়ে ফোটান। তার মধ্যে দশটা লবঙ্গ, দশ-বারোটা গোটা গোলমরিচ, এক ইঞ্চি আদা থেঁতো, দশটা তুলসি পাতা আর এক টেবিল চামচ মধু দিয়ে দিন। এই জলটা একটা ফ্লাস্কে ভরে রাখুন। মাঝেমাঝে কাপে ঢেলে খান। লবঙ্গ, তুলসি সর্দিকাশি সারাতে অব্যর্থ। আর গরম সেঁকে গলায় আরামও পাবেন।
* গলা ব্যথার জন্য অনেকেই খেতে পারেন না। তাঁরা মুগ-মুসুর ডাল সিদ্ধ করে ডালের উপরের জলটা তুলে নিয়ে তাতে এক টেবিল চামচ মাখন দিয়ে খেতে পারেন। এতে গলায় আরাম পাবেন।
* গরম জলে পাতিলেবুর রস ও মধু দিয়েও খেতে পারেন। পাতিলেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি মজুত রয়েছে। সর্দি কাশির মোকাবিলায় ভিটামিন সি দারুণ কাজে দেয়। অন্য দিকে মধুর অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল গুণ কাশির উপশমে সহায়ক।
* গাজর ও রসুনের সুপ তৈরি করেও খেতে পারেন। একটা গাজর আর পাঁচ কোয়া রসুন একসঙ্গে ভাল করে সিদ্ধ করে নিন। এ বার সিদ্ধ গাজর ও রসুন একসঙ্গে চটকে ক্বাথ তৈরি করে তার মধ্যে অল্প জল দিয়ে ভাল করে ফোটান। এর মধ্যে এক চা চামচ মাখন, গোলমরিচ গুঁড়ো ও স্বাদ মতো নুন দিন। এই সুপ যেমন সুস্বাদু তেমনই স্বাস্থ্যকর। অসুস্থ শরীর চাঙ্গা করে তুলতে গাজরের ভিটামিনস ও মিনারেলস সহায়ক। সঙ্গে রসুনও কাজে দেয়।
* সর্দি হলে মুখের স্বাদও যেন চলে যায়। কোনও কিছুই খেতে ইচ্ছে করে না। সে সময়ে কালো জিরে বেটে, কয়েকটা রসুন থেঁতো করে নিন। এ বার ঘিয়ে পেঁঁয়াজ কুচি ভেজে এই কালো জিরে বাটা ও রসুন থেঁতো করে দিয়ে নাড়াচাড়া করে নিন। চাইলে কাঁচা লঙ্কাও দিতে পারেন। এটা মধ্যাহ্নভোজের শুরুতে ভাতে মেখে খেতে পারেন। এতে সর্দি-কাশিতে মুখে স্বাদ ফেরে। আবার কালোজিরে ও রসুনের গুণে শরীরে অনাক্রম্যতাও বাড়ে। ফলে শরীর সুস্থ হয় তাড়াতাড়ি।
* এ তো গেল গলার আরামের ব্যবস্থা। সর্দিতে নাক বন্ধ হয়ে গেলে শ্বাস নিতে সমস্যা হয়। তাই বন্ধ নাক খোলার জন্য ব্যবহার করতে পারেন কালো জিরের পুঁটলি। এক খণ্ড কাপড়ের মধ্যে বেশ খানিকটা কালো জিরে নিয়ে একটা ছোট পুঁটলি করে নিন। তার পরে হাতের চাপে কালো জিরের পুঁটলিটা ঘষতে থাকুন যাতে ভিতরের কালো জিরেগুলো একে অপরের সঙ্গে ঘষা খেতে থাকে। এ বার নাকের কাছে নিয়ে গিয়ে বারেবারে শুঁকতে হবে। কালো জিরের ঝাঁজে নাক খুলে যাবে।
সর্দিকাশির হাত থেকে নিস্তার পেতে ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি এই ঘরোয়া পথ্য কাজে লাগালে আরোগ্য লাভ হবে দ্রুত।