শিশুর নিজস্ব পরিসরে থাকুক তার পছন্দের ছোঁয়া। ছবি: সংগৃহীত।
বাড়ি সাজাতে ভালবাসেন? নিজের বুদ্ধি ও রুচি দিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে তুলেছেন ঘরের অন্দরমহল? কিন্তু যদি আপনার পরিবারে একটি খুদে সদস্য থাকে, তবে তার ঘরটাও তো হতে হবে অন্য রকম। সে ক্ষেত্রে যতই আপনার নিজের পছন্দ থাকুক না কেন, খুদে সদস্যটির ইচ্ছেকেও সমান গুরুত্ব দিতে হবে. খুদেদের অনেকটা সময় কাটে তাদের ঘরে। ঘরের অন্দরসজ্জা, তার জিনিসপত্র, দেওয়ালের রং— সব কিছুরই প্রভাব পড়ে ওই ঘরের বাসিন্দা ছোটদের মনে। ছোটদের ঘর সাজানোর সাজানোর সময় কী কী মাথায় রাখবেন?
১) শিশুর ঘর হবে ছিমছাম। আসবাবপত্রও জবরজং হবে না। ঘরের এক কোণে খেলাধুলোর জন্য ফাঁকা জায়গা থাকা বাঞ্ছনীয়। এতে শিশু তার নিজস্ব পরিসরে বেড়ে উঠতে পারবে। শিশুদের ঘরের মেঝের পরিসর বড় হওয়া জরুরি। তাদের ঘরে বেশি বড় খাটের প্রয়োজন নেই। ঘরে আসবাবপত্র বেশি হয়ে গেলে ওদের চলাফেরা করতে, খেলা করতে অসুবিধা হয়। শিশুর ঘরে রাখার জন্য এমন আসবাব কিনুন যা ভাঁজ করে রাখা যায়। যাতে ঘর গোছানো লাগে এবং ঘরের জায়গাটাও বাড়ে।
• বাইরের জগৎ সম্পর্কে শিশুরা মোটেই খুব বেশি অবগত নয়। কল্পনার রঙে সেই জগতটিকে তারা রাঙিয়ে নেয়। সেই কল্পনাকে উস্কে দিতে ঘরের প্রতিটি কোণায় রাখতে পারেন তাদের পছন্দ অনুযায়ী টুকরো টুকরো জিনিস। খুদের সৃজনশীলতার খেয়াল রাখতে হবে আপনাকেই। তার ঘরের এক কোণে সাদা কিংবা কালো বোর্ড রাখতে পারেন। তাতে সে চক, রং দিয়ে আঁকিবুকি কাটতে পারবে। একটু বড় হলে, পরীক্ষার রুটিন কিংবা জরুরি কোনও তথ্যও লিখে রাখতে পারবে সেই বোর্ডে।
• ঘরের এক দিকে রাখা যেতে পারে বেশ বড় আকারের একটা আলমারি। সেখানেই গুছিয়ে রাখা থাক বইপত্র, পোশাক এমনকি খেলাধুলোর সামগ্রীও। বাচ্চার ঘরে যেন যথেষ্ট পরিমাণে আলো থাকে সেই বিষয়ে সতর্ক থাকুন। পড়াশোনার সময় কম আলো থাকলে তাদের চোখের ক্ষতি হতে পারে।
• জানালার কাছে বই পড়ার জন্য একটি ছোট্ট টেবিলের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। সেখানে পড়াশোনা বাদ দিয়ে শিশু তার অবসর সময় কাটাতে পারে। শিশুর ঘরেও যেন সবুজের ছোঁয়া থাকে। দেওয়ালে একটু উঁচুতে তাক লাগিয়ে ছোট ছোট গাছ রাখতেই পারেন।
• ছোটরা উজ্জ্বল রং পছন্দ করে। তাই তাদের শৈশবকে রাঙিয়ে দিতে ঘরের দেওয়ালে ওদের পছন্দ অনুযায়ী রঙের প্রলেপ লাগানো যেতে পারে। ব্যবহার করতে পারেন রঙিন ও নকশাদার ওয়ালপেপারও।