বর্ষায় তুলসী গাছের চাই বাড়তি যত্ন। ছবি: শাটারস্টক।
বর্ষার মরসুমে সর্দি-কাশি থেকে বাঁচতে তুলসী পাতা মহৌষধির মতো কাজ করে। অনেক বাড়িতে সারা বছরই তুলসী গাছ থাকে। কেউ ধার্মিক কারণে, কেউ আবার শরীর চাঙ্গা রাখতে তুলসী গাছ রাখেন বাড়িতে। বছরের যে কোনও সময়ে ঠান্ডা লাগলে দ্রুত সুস্থ হতে তুলসীর সঙ্গে মধু মাখিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়, বর্ষার মরসুমে তো তুলসীর চাহিদা আরও বেড়ে যায়। তবে তুলসী যেমন শরীরের যত্ন নেয়, তেমনই বর্ষায় তুলসী গাছেরও বাড়তি খেয়াল রাখতে হবে। বর্ষায় কী ভাবে যত্নে রাখবেন তুলসী গাছ?
১) সারা বছর তুলসী বারান্দায় থাকলেও বর্ষাকালে গাছের স্থান পরিবর্তন করা জরুরি। তুলসী গাছ রাখতে হবে শেড আছে এমন জায়গায়। তবে সেই জায়গায় যেন পর্যাপ্ত সূর্যের আলো আসে সেটা নিশ্চিত করুন। মেঘলা দিনে সূর্যের আলোর অভাবে গাছের পাতা শুকিয়ে যেতে পারে। রোদ উঠলে সারা দিনে অন্তত ৫-৬ ঘণ্টা আলো পেলে যথেষ্ট।
২) বর্ষাকালে গাছে জল দেওয়ার ব্যাপারে বিশেষ সতর্ক থাকা জরুরি। তুলসী গাছের মাটি যেন খুব বেশি শুষ্ক কিংবা খুব বেশি ভেজা না থাকে, সে দিকে লক্ষ রাখুন। মাটি হালকা ভিজে থাকলেই যথেষ্ট।
৩) তুলসীর ডালপালা খানিক ছাঁটা দরকার। না হলে বেশি ঝোপঝাড় হয়ে গেলে পোকামাকড়ের ভয় থাকে। বর্ষাকালে সেই ঝুঁকি আরও বেশি। তা ছাড়া, ডালপালা বেশি বড় হয়ে গেলে ঘরে রাখাও সমস্যাজনক হয়ে ওঠে।
৪) তুলসী গাছের পুরনো পাতাগুলি মাঝে মাঝেই তুলে ফেলা জরুরি। তা হলেই নতুন পাতা ও মঞ্জুরি হবে গাছে। সেই পাতা চিবিয়ে খেলে অনেক শারীরিক নানা সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
৫) তুলসী গাছকে বারান্দার এক কোণে রেখে দেবেন না। অন্যান্য গাছ মূলত গাঁদা, নিম গাছের পাশে এই গাছ রেখে দিতে পারেন। এর ফলে প্রাকৃতিক ভাবেই তুলসী গাছটি পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে রেহাই পাবে।