সিঙ্ক কিংবা কল থাকবে নতুনের মতো। ছবি: সংগৃহীত।
বাড়িতে অতিথি আসার খবর পেলেই হল! গোটা বাড়ি একেবারে তটস্থ। জানলা, দরজায় সুন্দর পর্দা টাঙাতে হবে। বিছানায় পরিষ্কার চাদর পাততে হবে। টি-টেবিলে রাখা সাকুলেন্টের সেরামিক পাত্রের গায়ে যেন এতটুকু ধুলো লেগে না থাকে, তার জন্য ভিজে কাপড় দিয়ে মুছতে হবে। টেবিলের উপরের কাচ কিংবা টিভির পর্দায় বিন্দু বিন্দু তেলের ছিটেও যেন না থাকে। ঘরের দেওয়ালের কোণ থেকে স্নানঘরের টাইলস্— সব একেবারে ঝকঝক করা চাই। কিন্তু হেঁশেলের সিঙ্ক আর স্নানঘরের কোণে রাখা বেসিনের কলের দিকে তাকিয়ে দেখেছেন কখনও? মরচে আর সেডিমেন্ট পড়ে দু'টির অবস্থাই তো খারাপ হয়ে গিয়েছে! সেগুলি পরিষ্কার করবেন কী ভাবে?
১) ভিনিগার
বেসিনে নতুন কল লাগিয়েছেন। মাসখানেক পর থেকেই জলের ধারা ক্রমশ ক্ষীণ হতে শুরু করেছে। জলের মধ্যে থাকা নানা রকম খনিজ কিংবা অন্য পদার্থ থেকে অনেক সময়ে জলের মুখে মরচে পড়ে। কলের মুখে থাকা ঝাঁঝরির মুখ অবরুদ্ধ হয়ে যায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তির টোটকা হল ভিনিগার। তার সঙ্গে যদি একটু নুন মিশিয়ে নিতে পারেন, আরও ভাল কাজ হবে। এই মিশ্রণ কলের মুখে মাখিয়ে রেখে দিন সারা রাত। পরের দিন আর জলের ধারা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।
২) লেবুর রস
লেবুর রসের মধ্যে রয়েছে সাইট্রিক অ্যাসিড। রোজ জল লেগে হেঁশেলের স্টিলের সিঙ্ক জেল্লা হারায়। হারানো জেল্লা ফিরিয়ে আনতে ঘরোয়া টোটকা হিসাবে কাজে আসতে পারে পাতিলেবু। সঙ্গে সামান্য নুনও মিশিয়ে নিতে পারেন।
স্নানঘরের কল কিংবা হেঁশেলের সিঙ্ক থেকে জলের সাদা দাগ সহজেই তুলে দিতে পারে বেকিং সোডা। ছবি: সংগৃহীত।
৩) বেকিং সোডা
স্নানঘরের কল কিংবা হেঁশেলের সিঙ্ক থেকে জলের সাদা দাগ সহজেই তুলে দিতে পারে বেকিং সোডা। লেবুর রসের সঙ্গে বেকিং সোডা মিশিয়ে ঘন একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। সমস্ত কাজ শেষ করার পর সিঙ্ক কিংবা কলের গায়ে এই মিশ্রণ মাখিয়ে রাখুন। সারা রাত রাখতে পারলে ভাল হয়। না হলে অন্তত ঘণ্টাখানেক অপেক্ষা করুন। তার পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেললেই সিঙ্ক বা কল একেবারে নতুনের মতো ঝকঝক করবে।