সারা দিনে অন্তত এক বার সময় বার করে বই না পড়লে ঠিক স্বস্তি আসে না। ছবি- সংগৃহীত
নেটমাধ্যমে এখন বইও পড়া সম্ভব। অনেকেরই সেই অভ্যাস আছে। তবে এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা বইয়ের নেশায় পাগল। সারা দিনে অন্তত এক বার সময় বার করে বই না পড়লে ঠিক স্বস্তি আসে না। বাড়িতে তাঁদের বইয়ের পাহাড়। কিন্তু বই ভালবাসা আর তার যত্ন নেওয়া এক কথা নয়। পড়তে অনেকের ভালবাসলেও, ঠিক পদ্ধতিতে বই সংরক্ষণ করতে পারেন না সকলে। কিন্তু প্রশ্ন হল, কোথায় এবং কী ভাবে বই রাখলে তা নষ্ট হবে না?
কী ভাবে যত্ন নিলে বছরের পর বছর সুরক্ষিত রাখা যাবে সাধের মূল্যবান সম্পদ?
১) যদি বই রাখার কোনও তাক আলাদা ভাবে কিনে থাকেন, তবে তা রাখুন এমন জায়গায় যেখানে বাতাস খেলে। কিন্তু তা জানলার ধারে নয়। বরং চার দেওয়ালে ঘেরা কোনও এলাকায়। বইয়ের গায়ে সরাসরি সূর্যের তাপ যেন না পড়ে সে দিকে লক্ষ্য রাখবেন।
২) এখন নানা ধরনের বইয়ের তাক হয়। তবে চেষ্টা করুন এমন কোনও তাক কিনতে, যেখানে পর পর সমান ভাবে সাজিয়ে রাখা যাবে সব বই। যত পরিচ্ছন্ন ভাবে সাজাবেন, ততই ভাল থাকে বইয়ের বাঁধন।
৩) অনেক বইয়ের উপরের দিকে একটা আলগা মলাট থাকে। জ্যাকেটের মতো। তা সরিয়ে রাখার প্রবণতা থাকে অনেকের। কিন্তু সেটি পরিয়ে রাখা ভাল। তাতে ধুলো-ময়লার থেকে খানিক রক্ষা পায় বইটি।
৪) সাজানোর সময়ে ভারী এবং বড়সড় দেখতে বইগুলিকে একেবারে নীচের তাকে রাখা ভাল। তার সঙ্গে খেয়াল রাখা জরুরি, ভিতরের কোনও পাতা মুড়ে গেল কি না।
৫) অনেক বই পোকামাকড়ের জ্বালায় নষ্ট হয়ে যায়। সাধের বইগুলি পোকামাড়ের হাত থেকে রক্ষা করতে বইয়ের পাতার ভাঁজে নিমপাতা রাখতে পারেন।