এসি কেনার সাত সতেরো ছবি: সংগৃহীত
নতুন বছর প্রায় এসে গিয়েছে, সঙ্গে এসে গিয়েছে গরমও। গরম থেকে বাঁচতে এখন অনেকেই শরণাপন্ন হচ্ছেন শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্র বা এসির। এসি তাই এখন আর বিলাসের সামগ্রী নেই, বরং হয়ে উঠেছে নিত্য প্রয়োজনীয় একটি যন্ত্র। দেখে নিন এসি কেনার সময় মাথায় রাখবেন কোন কোন বিষয়।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
১। কত টনের এসি
ঘরের মাপ অনুযায়ী স্থির করতে হবে কত টনের এসি প্রয়োজন। প্রয়োজনের কম টনের এসি লাগালে এক দিকে ঘর ঠান্ডা হতে বেশি সময় নেয়। অন্য দিকে চাপ পড়ে যন্ত্রটির উপরেও। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি টনের এসি আবার অতিরিক্ত দ্রুত ঘর ঠান্ডা করে দেয়। অপচয় করে বিদ্যুৎ। বিশেষজ্ঞদের মতে ১২০ বর্গফুট বা তার কম মাপের ঘরের জন্য এক টনের এসিই যথেষ্ট। কিন্তু ঘরের মাপ ১৮৫ বর্গফুটের কাছাকাছি আয়তনের ঘর হলে দেড় থেকে দুই টনের এসি কিনতে হবে।
২। বিদ্যুৎ খরচ
কোন এসির বিদ্যুৎ খরচ কেমন তা বোঝা যায় এসির গায়ে থাকা তারা থেকে। ব্যুরো অব এনার্জি এফিশিয়েন্সির পক্ষ থেকে এই তারাগুলি প্রদান করা হয়। একে বিইই রেটিংও বলা হয়। পাঁচটি তারাযুক্ত এসি সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। সাধারণত যে এসিতে যত বেশি তারা থাকে তার দাম তত বেশি হয়। কিন্তু কেনার সময়ে বেশি খরচ করতে পারলে পৌনঃপুনিক ব্যয় কমে অনেকটাই।
৩। ইনভার্টার এসি
ইনভার্টার এসি কমপ্রেসরের গতিবেগ নিয়ন্ত্রণের মধ্য দিয়ে শীতলতার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এই পদ্ধতিতে যেমন বিদ্যুৎ খরচ কমায় তেমনই এই এসির কর্মক্ষমতাও সাধারণ এসির তুলনায় বেশি।
৪। কয়েল ও ফিল্টার
কপার বা তামার কয়েলযুক্ত এসি একটু দামি হলেও এটি তুলনামূলক ভাবে অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য। পাশাপাশি এখন বিভিন্ন এসিতে হরেক রকমের ফিল্টার থাকে। এই ফিল্টারগুলি দুর্গন্ধ দূর করা ও বায়ুবাহিত রোগ-জীবাণু দূর করতে সহায়তা করে।
৫। অন্যান্য সুবিধা
এখন সাধারণ এসির পাশাপাশি স্মার্ট এসিও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এগুলির কোনওটিতে ওয়াইফাই থাকে, কোনওটি আবার গলার স্বর কিংবা মোবাইল ফোন থেকেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তবে এই সব অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা পেতে চাইলে পকেটেও কিছুটা বাড়তি চাপ পড়বে।