ক্যাকটাসের যত্ন সঠিক ভাবে নিতে হয়। ছবি: ফ্রিপিক।
ঘর বা বারান্দার কোণে সুদৃশ্য ক্যাকটাসের জুড়ি নেই। যতই কাঁটা থাকুক, ক্যাকটাসের আকর্ষণ কিন্তু অনবদ্য। ক্যাকটাসে রোজ জল দেওয়ার ঝক্কি নেই। বাড়ির ভিতরেও দিব্যি রাখা যায়। ঘরের এক কোণেই বলুন বা টেবিলের একপ্রান্তেই বলুন, ক্যাকটাস রাখলে জায়গাটি এমনিতেই সুন্দর দেখায়। সেই ক্যাকটাসে যদি ফুল ধরে, তা হলে ঘরটাই ঝলমল করবে। ইনডোর প্ল্যান্টের মধ্যে ক্যাকটাসের চাহিদা এখন ভালই বেড়েছে। বিভিন্ন রকম ক্যাকটাস সংগ্রহের চল বেড়েছে। যদি বাড়িতে ক্যাকটাস রাখতেই হয়, তা হলে জেনে নিন কী ভাবে যত্ন করবেন।
বানি ইয়ার্স, ওল্ড লেডি ক্যাকটাস, চিনা ক্যাকটাস, সাগুয়ারো ক্যাকটাস, ব্যারেল ক্যাকটাস ইত্যাদি বিভিন্ন রকম প্রজাতি রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কী ভাবে যত্ন নেবেন।
মাটি
মাটিতে জল জমে থাকলে সেই মাটিতে ক্যাকটাস বাড়তে পারে না। সাধারণ ভাবে বেশিক্ষণ জল দাঁড়ায় না এমন মাটিই ক্যাকটাসের (বিশেষ করে ফরেস্ট ক্যাকটাসের) জন্য আদর্শ। ক্যাকটাসের মাটি তৈরি করতে লাগবে ১০ শতাংশ বালি, ৪০ শতাংশ মাটি আর ৫০ শতাংশ পারলাইট। এর মধ্যে খানিকটা রক ডাস্ট মিশিয়ে নিন। এ বার এই মাটি টবে ঢেলে অল্প জল দিন। টবের উপরের দিকের মাটিতে ছোট ছোট পাথর, নুড়ি রাখতে পারেন।
জল
ক্যাকটাসের শিকড় পোক্ত হতে কম করেও চার-পাঁচ মাস সময় লাগে। খেয়াল রাখতে হবে, ক্যাকটাসের শিকড় যেন পচে না যায়। রোজ এই গাছে জল দেওয়ার প্রয়োজন নেই। বসন্ত ও গরমকালেই ক্যাকটাস বাড়ে। এই সময়েই জল দিলে ভাল। শীতের সময় জল অল্প দেবেন। ক্যাকটাসের জন্য ভাল জলনিকাশির প্রয়োজন। তাই ক্যাকটাসের টবের নীচে একাধিক ছিদ্র করে দিতে হবে, যাতে গাছের গোড়ায় জল জমে না যায়।
আলো
ক্যাকটাসের কিন্তু দিনে অন্তত ছ’ থেকে আট ঘণ্টা উজ্জ্বল সূর্যালোক প্রয়োজন। তবে কিছু-কিছু প্রজাতি সূর্যের প্রখর আলো সহ্য করতে পারে না। তাই কোন ধরনের ক্যাকটাস কিনছেন এবং সেই নির্দিষ্ট প্রজাতির ক্যাকটাসের জন্য কতটা আলো দরকার তা গাছ বিক্রেতার থেকে জেনে নেবেন।
সার
ক্যাকটাস যেহেতু রুক্ষ ও শুষ্ক জায়গাতেও বেঁচে থাকতে পারে, তাই বেশি সার দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। খেয়াল রাখবেন, সারে যেন নাইট্রোজেনের চেয়ে ফসফরাসের মাত্রা বেশি থাকে। বছরে দু’-তিনবার সার দিন
পোকামাকড়মুক্ত রাখতে বাড়িতে এক টেবিল চামচ ভিনিগার, বেকিং সোডা ও জল মিশিয়ে ক্যাকটাসে স্প্রে করতে পারেন। মাসে এক বার স্প্রে করলেই যথেষ্ট।