কোন কোন আগাছা দেখলেই তুলে ফেলা দরকার? ছবি: সংগৃহীত।
বর্ষার জল পেলেই হু-হু করে বেড়ে উঠতে থাকে আগাছা। বাগানে চলাফেরার অসুবিধার জন্য শুধু নয়, গাছের জন্যও ক্ষতিকর অবাঞ্ছিত গাছপালা। আগাছা, সযত্নে বড় করা গাছের জায়গা ও পুষ্টিতে ভাগ বসায়। ফলে শখের গাছের বাড়বৃদ্ধিতে অসুবিধা হয়। কোনও কোনও আগাছা আবার মানুষের জন্যও ক্ষতিকরও। তাই, কোন কোন গাছ দেখলেই উপড়ে ফেলা দরকার?
পার্থেনিয়াম
সামান্য জল, মাটি পেলেই বেড়ে ওঠে পার্থেনিয়াম। সাদা ফুল হয় গাছটিতে। রেললাইনের ধারে, রাস্তার পাশে এই গাছ দেখা যায়। এই গাছটি শুধু সাজানো বাগানের জন্য ক্ষতিকর নয়, মানুষের জন্যও ক্ষতিকর। এই গাছ ও ফুল থেকে হাঁপানি সমস্যা দেখা দেয়।
অ্যাজ়মা প্ল্যান্ট
খুব তাড়াতাড়ি বেড়ে ওঠে বাগান ভরিয়ে ফেলে অ্যাজ়মা প্ল্যান্ট। এই গাছ থেকে হাঁপানির ওষুধও তৈরি হয়। তবে বাগানে এক বার এই গাছ হলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। অন্য গাছের পুষ্টিতে, আলো, হাওয়ায় ভাগ বসায়। ফলে এই গাছটি দেখা গেলেও দ্রুত কেটে ফেলা প্রয়োজন।
শিয়ালকাঁটা
কাঁটাসহ গাছটিতে সুন্দর ফুল হয়। তবে বাগানের এক কোণে এক বার জন্মালে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আগাছা হিসাবে পরিচিত শিয়ালকাঁটা। শোনা যায় সুদূর মেক্সিকোতে এর জন্ম। ক্ষেত, বাড়ির আশপাশে ঝোপঝাড়ে বেড়ে ওঠে আগাছা।
কী ভাবে আগাছা নির্মূল করবেন?
উপড়ে ফেললে বা কেটে দিলেও ফের আগাছা জন্ম নেয়। আগাছা সরাতে কেটে ফেলার পর জায়গাটি খবরের কাগজ দিয়ে ঢেকে দিতে পারেন। মাটিতে রোদ না পড়লে চট করে গাছ গজাবে না।
আগাছার আশপাশে বাগানের ভাল কোনও গাছ না থাকলে গরম জল ছিটিয়ে দিতে পারেন। এতেও আগাছার বীজ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
আগাছা পরিষ্কারে রাসায়নিক পাওয়া যায়। তবে তা ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকা দরকার।