শোয়ার ঘরের রং কেমন হলে মন সতেজ থাকবে। ছবি: ফ্রিপিক।
দিনভরের কর্মব্যস্ততা, কাজের চাপ, মানসিক টানাপড়েন, দুশ্চিন্তা— সব সামলে বাড়ি ফিরে আরামই খুঁজি আমরা। শোয়ার ঘরে বিছানায় গা এলিয়ে দিয়েই সারাদিনের ক্লান্তি থেকে কিছুটা হলেও রেহাই পাওয়া যায়। ছোট হোক বা বড়, শয়ন কক্ষ তাই পরিপাটি ও পরিচ্ছন্ন রাখতেই হয়। শোয়ার ঘরের সাজসজ্জা, দেওয়ালের রং এমন হতে হবে যা মন ভাল করে দেবে নিমেষে। খুব গাঢ় রং শোয়ার ঘরে ভাল লাগে না। যদি গাঢ় রঙে দেওয়াল রাঙাতেই হয়, তা হলে একদিকে গাঢ় রং করে, বাকি দেওয়ালগুলিতে ওই রঙেরই হালকা শেড ব্যবহার করা যেতে পারে। তা হলে জেনে নিন, শোয়ার ঘরের দেওয়ালের রং কেমন হলে ভাল হয়।
আকাশি নীল রং বেডরুমের জন্য বেশ ভাল। হালকা নীলে এমন মাধুর্য আছে যা মন ভাল করে দিতে। যাঁদের ঘুম কম বা অনিদ্রার সমস্যা আছে, তাঁরা একবার শোয়ার ঘরের দেওয়ালে হালকা নীল রং করিয়ে দেখতে পারেন। দেখবেন, মনের অস্থিরতা ও অস্বস্তি অনেক কমে যাবে।
শোয়ার ঘরে হলুদ রং অনেকে পছন্দ না-ও করতে পারেন। তবে খুব হালকা হলুদ কিন্তু ঘরের সৌন্দর্য কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিতে পারে। মনে হবে ঘরে অনেক আলো-হাওয়া খেলছে। দেওয়ালের রং যদি হালকা হলুদ রাখেন, তা হলে তার সঙ্গে মিলিয়ে বিছানার চাদরও পাতুন। পর্দার রংও হতে হবে মানানসই। হলুদের একটু গাঢ় শেডের পর্দা কিনতে পারেন। আসবাব কম রাখুন। জানলার কাছে ছোট্ট টেবিলে একটা বড় পাত্র রেখে তাতে খানিকটা জল দিয়ে গোলাপের কয়েকটি পাপড়ি ভাসিয়ে দিন। তার উপর ছড়ান ল্যাভেন্ডার, জ্যাসমিন ইত্যাদির গন্ধযুক্ত এসেনসিয়াল তেল। দেখবেন ঘরের পরিবেশই বদলে গিয়েছে।
ঘুম ভেঙেই যদি অনুভব করা যায় প্রকৃতির ঘনিষ্ঠতা। চোখ খুলেই যদি হৃদয়ে লাগে সবুজের ছোঁয়া, তা হলে কেমন হয়! শোয়ার ঘরের দেওয়ালে হালকা সবুজ রং করতে পারেন। একটি দেওয়ালে করে নিন ওয়াল ক্ল্যাডিং। ঘরের জানলায় রাখুন কয়েকটি গাছ। দেখবেন ঘরে ঢুকলেই মন ভাল হয়ে যাবে।
পিচ রং ঘরের সৌন্দর্য কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিতে পারে। চোখ ও মনের জন্যও এই রং খুবই আরামদায়ক। যদি ঘরের সাজ অন্যরকম করতে চান, তা হলে টেক্সচার দেওয়াল করে নিতে পারেন। তার উপর বিভিন্ন নকশা করলে দেখতে খুবই ভাল লাগবে।