পর্দা দিয়েই হোক অন্দরের ভোলবদল। ছবি: শাটারস্টক।
শহরের বুকে আপনার ছোট্ট ফ্ল্যাট। ফ্ল্যাটের অন্দরের ভোলবদল করে সাজিয়ে তুলতে চান মনের মতো? অন্দরসজ্জায় পর্দার গুরুত্ব অনেকখানি। ঘরের রঙের সঙ্গে মানানসই পর্দা কিন্তু একে অপরের পরিপূরক!
সামনেই পুজো। পুজোর আগে নীড়ের শোভা বৃদ্ধির জন্য পর্দা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কিন্তু একটু সজাগ থাকতে হবে। লিনেন হোক বা সিল্ক, ভেলভেট হোক বা সুতি, বাজারে পর্দার কাপড়ের বাহার অনেক। সারা বছর সুতির পর্দার চাহিদাই বেশি থাকে। তবে ঘরে উৎসবের মেজাজ আনতে পর্দা দিয়ে একটু কারসাজি না করলেই নয়। মনের মতো পর্দা বানাতে এখন থেকেই কাপড় বাছাই শুরু করতে হবে। শহরে একাধিক দোকানে অল্প দামে হরেক রকম কাপড় পাওয়া যায়। জেনে নিন কোন ধরনের পর্দার কাপড় এখন ফ্যাশনে ‘ইন’।
১) নেটের কাপড়: বাড়ির দেওয়ালে সঙ্গে এক শেড গাঢ় রঙের সিল্কের কাপড় কিনে আনুন। দুটো পর্দার সঙ্গে মানানসই সাদা নেটের কাপড়ও সঙ্গে আনতে ভুলবেন না যেন। গাঢ় রঙের মাঝে সাদা নেটের পর্দা বেশ ভাল মানায়। নেট কিন্তু সব সময়েই ফ্যাশনে ভীষণ চর্চিত। তাই পর্দার কারসাজিতে নেট দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতেই পারেন। নেটের কাপড় বিভিন্ন দামের পাওয়া যায়। পছন্দসই কাপড় কিনে এখন থেকেই বানিয়ে রাখুন পুজোর জন্য।
২) সুতির উপরে পশু-পাখির প্রিন্টের কাপড়: সুতির পর্দা সব সময়েই আরামদায়ক। তবে একেবারেই সাদামাঠা কাপড় না কিনে পুজোর সময়ে কাপড়ের প্রিন্ট দিয়ে একটু খেলা করা যেতেই পারে। এক একটি ঘরের জন্য বেছে নিতে পারেন একটি প্রিন্ট। ইদানীং পশু-পাখির প্রিন্টের সুতির পর্দার চল বেড়েছে। ইচ্ছা করলে শিশুদের ঘরের জন্য এমন থিমের পর্দা বেছে নিতেই পারেন।
পর্দার কারসাজিতে নেট দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতেই পারেন।
৩) জ্যামিতির ছক আঁকা ভারী কাপড়: বাড়ির থিমে আধুনিকতার ছোঁয়া আনতে চান? সে ক্ষেত্রে কিন্তু জ্যামিতির ছক আঁকা ভারী কাপড়ে পর্দা বেছে নিতে পারেন। গোলাকার, ত্রিকোণাকার, আয়তকার— বাজারে স্যাটিনের কাপড়ের উপর এই সব ছাপা পর্দার কাপড় পাওয়াই যায়। পুজোতে ঘরে ভোলবদল করতে এ রকম পর্দার কাপড় রাখতেই পারেন নিজেদের পছন্দের তালিকায়।