কাঠের নতুন আসবাব কেনার আগে কেন বেশি সতর্ক থাকবেন? ছবি: সংগৃহীত।
অনেকের সাধের আসবাবের দফারফা করে দেয় ঘুণপোকা। এই বিশেষ ধরনের কাঠপোকাগুলি ডিম পাড়ে কাঠের গায়ে। সেখান থেকেই কাঠের ভিতরে লার্ভা বড় হতে থাকে। ভিতরে ভিতরে খেতে থাকে কাঠ। তাতেই নষ্ট হয়ে যায় আসবাব। ইদানীং প্লাই দিয়ে তৈরি মর্ডান ডিজ়াইনার আসবাবের চাহিদা বাড়লেও অনেকেই আছেন যাঁদের সব সময়ই কাঠের চাহিদার প্রতি ঝোঁক বেশি। মেহগনি কিংবা সেগুন কাঠ দিয়ে তৈরি খাট, আলমারি, সোফার আভিজাত্যই আলাদা। বাড়িতে নতুন কাঠের আসবাব আনবেন বলে ঠিক করেছেন? কী ভাবে ঘুণের হামলা থেকে বাঁচাবেন শখের আসবাবগুলিকে?
১) আসবাব কেনার আগে ভাল করে জেনে নিন, কোন কাঠে ঘুণ ধরে না। তেমন কাঠের আসবাব কিনুন। কাঠের গুণমাণ যাচাই করে তবেই আসবাব কিনুন।
২) ভেজা কাঠে ঘুণ ধরার আশঙ্কা বাড়ে। তাই কাঠ ভেজা বা কাঁচা কি না ভাল করে পরীক্ষা করে তবেই আসবাব কিনুন। বাড়ির পুরনো কোনও আসবাব ভিজে গেলে বা কোনও কারণে তাতে জল পড়ে গেলে সেটি ভাল করে রোদে শুকিয়ে নিতে ভুলবেন না।
৩) কাঠের উপর বার্নিশের প্রলেপ কিংবা রং এই জাতীয় পোকার হাত থেকে আসবাবকে রক্ষা করে। পেশাদার কাউকে দিয়ে আসবাবের উপর এগুলির প্রলেপ দিয়ে নিন।
৪) কাঠের গায়ে কোনও ছিদ্র বা ফাটল থাকলে, ঘুণপোকা সেখানে ডিম পাড়ে। আসবাব কেনার আগে দেখে নিন, তার গায়ে এ রকম কিছু আছে কি না যাচাই করে নেবেন। পুরনো আসবাবের গায়ে ছিদ্র বা ফাটল ধরলে দ্রুত মোম বা গালা দিয়ে বন্ধ করে দিন।
৫) বাড়িতে অন্য আসবাবে ঘুণ থাকলে নতুন আসবাবে ছড়িয়ে পড়তেও সময় লাগবে না। সে ক্ষেত্রে পুরনো আসবাবে রাসায়নিক ব্যবহার করতে পারেন। বাজারে বোরন পাউডারের মতো কিছু রাসায়নিক পাওয়া যায়। সেগুলি এনে স্প্রে করে দিতে পারেন। নিম তেলও এ ক্ষেত্রে ভাল বিকল্প হতে পারে।