অ্যাকোয়ারিয়ামের যত্ন নেবেন কী ভাবে। ছবি: ফ্রিপিক।
আপনার ঘরের অ্যাকোয়ারিয়ামটি শুধু ঘর সাজানোর সরঞ্জাম নয়, বরং এটি কতকগুলি রঙিন সুন্দর প্রাণীর বাসস্থান। তাই ভালভাবে এর যত্ন নেওয়াঅত্যন্ত জরুরি।
অ্যাকোয়ারিয়াম স্থাপন:
আকার নির্বাচন: মাছের প্রজাতি ও সংখ্যার উপর নির্ভর করে অ্যাকোয়ারিয়ামের আকার নির্বাচন করতে হবে। অ্যাকোয়ারিয়াম বড় হলে সাধারণত অবুবিধা হয় না। কিন্তু, ছোট হলে গাদাগাদি করে অনেক মাছ না রাখা উচিৎ।
স্থান নির্বাচন: ঘরের এমন একটি জায়গায় অ্যাকোয়ারিয়ামটি স্থাপন করুন, যেখানে, সরাসরি সূর্যালোক পৌঁছয় না। উঁচু-নীচু অথবা এবড়ো-খেবড়ো জায়গা এড়িয়ে চলুন। স্থিরভাবে বসতে পারবে, এমন জায়গায় অ্যাকোয়ারিয়ামটিরাখুন।
সরঞ্জাম: ফিল্টার, হিটার, থার্মোমিটার, বায়ু-পাম্প ইত্যাদি প্রয়োজনীয় সরঞ্জামগুলি জোগাড় করে ঘরে মজুত রাখুন। এগুলি অ্যাকোয়ারিয়ামের যত্নের জন্য প্রয়োজন হবে।
জল প্রস্তুতি:
জলের ডিক্লোরিনেশন বা ক্লোরিন দূরীকরণ: অ্যাকোয়ারিয়ামের জলের ক্লোরিন অপসারণ করা অবশ্য প্রয়োজন। ক্লোরিনযুক্ত জলে মাছ থাকতে পারে না।
তাপমাত্রা: অ্যাকোয়ারিয়ামের জল যেন এমন তাপমাত্রায় থাকে, যা মাছের জন্য উপযোগী। ২৪–২৬.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা এক্ষেত্রে উপযুক্ত।
পিএইচ মাত্রা: জলের পিএইচ মাত্রা ৬.৫ থেকে ৮.৫-এর মধ্যে থাকলে ভাল।
মাছের আচরণ, জলের অবস্থা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করুন। ছবি: সংগৃহীত
মাছ নির্বাচন:
শুরুতে: অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে সহজে বেঁচে থাকতে পারে, এমন মাছের প্রজাতি নির্বাচন করুন। ‘টেট্রাস’, ‘প্লেইটেস’, ‘মলি’, ‘ক্যাটফিশ’ এসব দিয়ে শুরু করা যেতে পারে।
বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নির্বাচনের ক্ষেত্রে: একসঙ্গে বাঁচতে পারে, এমন প্রজাতির মাছ নির্বাচন করার দিকে নজর রাখা জরুরি।
মাছের সংখ্যা: অ্যাকোয়ারিয়ামের আকার অনুযায়ী মাছের সংখ্যা সীমিত রাখা প্রয়োজন।
খাদ্য:
মাছের প্রজাতির উপযোগী খাবার দিন। বেশি খাবার দেওয়া এড়িয়ে চলুন, নিয়মিত অল্প পরিমাণে খাবার দিন। মাছের খাওয়ার অভ্যাস ও আচরণ পর্যবেক্ষণ করে খাদ্যের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করুন।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা:
নিয়মিত জল পরিবর্তন: সপ্তাহে একবার অ্যাকোয়ারিয়ামের ২৫ শতাংশ জল পরিবর্তন করা দরকার।
ফিল্টার পরিষ্কার: অ্যাকোয়ারিয়ামের জল যেন অবশ্যই নিয়মিত ফিল্টার করা হয়।
স্যাঁতসেঁতে আবর্জনা: অ্যাকোয়ারিয়ামের তলদেশে জমা স্যাঁতসেঁতে আবর্জনা নিয়মিত সরিয়ে ফেলুন।
অন্যান্য বিষয়:
নিয়মিত পর্যবেক্ষণ: মাছের আচরণ, জলের অবস্থা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করুন।
স্বাস্থ্য সমস্যা: রোগের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। মাছের যত্ন সম্পর্কে নিয়মিত জ্ঞান অর্জন করুন।
এ বিষয়ে নিয়মিত পড়াশোনা করলে ভাল হবে।অ্যাকোয়ারিয়ামের রক্ষণাবেক্ষণ এবং মাছের যত্ন নেওয়া খুবই ধৈর্যের বিষয়। নিয়মিত যত্ন নেওয়ার মাধ্যমেই মাছ সুস্থ ও সুন্দর থাকবে। প্রয়োজনেঅভিজ্ঞদের পরামর্শ নিন।