বাড়িতেই বেড়ে উঠুক মেথি গাছ। ছবি: সংগৃহীত।
বড়ি দিয়ে রাঁধুন বা পরোটায় মেশান, টাটকা মেথি শাক খেতে বেশ ভালই লাগে। হালকা তেতো ভাব থাকলেও এই শাক দিয়ে মুরগির মাংস-সহ রকমারি পদও রাঁধা যায়। চাইলে কিন্তু ঘরেই টবে চাষ করতে পারেন এই শাক। কৌশল জানলে, খুব সহজেই বেড়ে উঠবে মেথি গাছ।
টব
মাটির টব বা প্লাস্টিকের পাত্র যেটাই বেছে নিন না কেন, তা যেন ৬ থেকে ইঞ্চি গভীর হয়। ছিদ্র থাকা বাধ্যতামূলক। কারণ, গোড়ায় জল জমলে গাছের ক্ষতি হবে।
কোথায় রাখবেন
গাছের বেড়ে ওঠার জন্য আলো-হাওয়া দরকার। ৪-৫ ঘণ্টা সূর্যালোক আসে এমন কোনও জায়গা বেছে নিতে হবে। তবে চারাগাছে সরাসরি সূর্যালোক ক্ষতি করতে পারে। তখন ছায়ার দরকার হলেও, গাছ বড় হলে রোদে রাখতে হবে।
সার
মাটির সঙ্গে গোবর সার বা ভার্মিকম্পোস্ট মিশিয়ে নিতে হবে। মেথি গাছ বেড়ে ওঠার জন্য নাইট্রোজেন দরকার হয়। মাটিতে নাইট্রোজেন গুঁড়ো মিশিয়ে নিতে পারেন বা তরল সারও দিতে পারেন।
অঙ্কুরোদগম
মেথি দানা সারা রাত জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। তার পর জল ফেলে ভিজে কাপড় ঢাকা দিয়ে আরও ২ দিন রাখলেই তা থাকে অঙ্কুরোদগম হবে। অঙ্কুরিত মেথি দানা টবে ছড়িয়ে দিন। উপর থেকে অল্প মাটিও দিয়ে দিন। দিতে হবে মাপমতো জলও। কয়েক দিনের মধ্যে চারা বেরোবে। প্রথম দিকে একটু ছায়াযুক্ত জায়গায় রাখতে হবে চারা। তবে সেখানে যেন রোদের তাপ আসে। কয়েক দিন পর থেকে সরাসরি সূর্যালোকে রাখতে হবে গাছ।
জল এবং সার
মেথি গাছের বেড়ে ওঠার জন্য পর্যাপ্ত জল প্রয়োজন ঠিকই, তবে এর গোড়ায় জল জমতে দেওয়া চলবে না। গাছের বেড়ে ওঠার সময় সার দিতে হবে। জৈব সার ব্যবহার করতে পারেন।
পোকামাকড়ের আক্রমণ
গাছের বেড়ে ওঠার সময় নিয়মিত নজরদারি দরকার। পাতা হলুদ হয়ে গেলে বা গাছ শুকিয়ে গেলে অথবা ছত্রাকের আক্রমণ হচ্ছে কি না দেখা দরকার। সমস্যা অনুযায়ী গাছে ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে।
সমস্ত কিছু ঠিক থাকলে, মোটামুটি ৩-৪ সপ্তাহেই গাছ বড় হয়ে যাবে। মাস দেড়েকের মধ্যেই পাবেন টাটকা মেথি শাক।