সাবেকি কায়দায় ঘর সাজাবেন কী করে? — ফাইল চিত্র।
আধুনিক জীবনে যখন সব কিছুই দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে, তখন অনেকেই পুরনো দিনের আভিজাত্য ও সৌন্দর্যে ফিরে যেতে চান। ঘর সাজানোর ক্ষেত্রেও এই প্রবণতা দেখা যায়। সাবেকি কায়দায় ঘর সাজানো মানে শুধু পুরনো জিনিস ব্যবহার করা নয়, বরং সেই সময়ের সৌন্দর্যবোধ, রং, আলো এবং ব্যবহৃত উপকরণগুলিকে আধুনিক জীবনের সঙ্গে মিলিয়ে নতুন এক আবহ তৈরি করা।
সাবেকি কায়দায় ঘর সাজানোর কিছু উপায়:
ঘরের আসবাব নির্বাচন: কাঠের তৈরি পুরনো আলমারি, টেবিল, খাট, আরামকেদারা ঘরকে সহজেই একটা সাবেকি চেহারা দিতে পারে। যদি পুরনো আসবাব না পাওয়া যায়, তা হলে নতুন আসবাব আগেরকার দিনের নকশায় তৈরি করে নেওয়া যেতে পারে, তাতেও সহজে পাওয়া যায় একটা ঘরে সাবেকি আবহ।
দেওয়াল: দেওয়ালে পুরনো ছবি, আয়না বা কাঠের তৈরি শিল্পকর্ম লাগানো যেতে পারে। দেওয়ালে হালকা রং ব্যবহার করে, তার উপর সাদা রঙের নকশা দিয়ে সাবেকি আবহ তৈরি করা যায়।
আসবাবের সঠিক নির্বাচন ঘরকে দিতে পারে সাবেকি সাজ। — ফাইল চিত্র।
আলো: মাটির বা কাচের তৈরি বাতিদান, মোমদানি, ঝাড়লণ্ঠন ঘরে ব্যবহার করা যেতে পারে।
পর্দা: সুতি বা মসলিনের তৈরি, হাতের কাজ করা পর্দা ব্যবহার করে ঘরে একটা আবহ তৈরি করা যায়।
মেঝে: মেঝেতে ভারী কাজ করা গলিচা বিছিয়ে দেওয়া যেতে পারে।
ঘর সাজানোর জিনিস: পুরনো ঘড়ি, মূর্তি, হাতে বোনা কাপড়, লেখার টেবিলে পুরনো দিনের লেখার সরঞ্জাম, দোয়াত, কালি, পুরনো বই এ সব রাখা যেতে পারে। হাতের কাজ করা বিছানার চাদর, বালিশের ঢাকা, কুরুশের কাজ করা টেবিল ও আয়নার ঢাকা ব্যবহার করে ঘরে একটা পুরনো দিনের চেহারা আনা যায়। বইয়ের তাকে বেছে বেছে বাঁধাই করা বই রাখা যেতে পারে। ঘরে গ্রামাফোন, টাইপরাইটার, হাতপাখা, হাতলণ্ঠন, মাটির পুতুল, এই ধরনের জিনিস দিয়ে সাজিয়ে দেওয়া যেতে পারে।
সাবেকি কায়দায় ঘর সাজাতে হলে একটু ধৈর্য এবং সৃষ্টিশীলতা প্রয়োজন। একে একে এই সব জিনিস জোগাড় করতে হবে, সবশে ষে জায়গামতো ব্যবহার করে চমৎকার সাবেকি কায়দায় সাজিয়ে ফেলা যায় শোয়ার বা বসার ঘর।