Tajpur Flood

তাজপুরের বন্যায় সমস্যায় পড়েছেন বহু পর্যটক, সমুদ্রে বেড়াতে গিয়ে দুর্যোগে পড়লে কী করবেন?

তাজপুরের বন্যায় সমস্যায় পড়েছেন বহু পর্যটক, সমুদ্রে বেড়াতে গিয়ে দুর্যোগে পড়লে কী করবেন?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪ ১৬:১৮
Share:

সমুদ্রের ধারে বেড়াতে গিয়ে বন্যায় পড়লে কী করবেন? —ফাইল চিত্র।

সম্প্রতি তাজপুরে বন্যায়ে হোটেল, দোকান-সহ অনেক কিছুই জলের তলায় চলে গিয়েছে। বিপদে পড়েছেন অনেক পর্যটক। এই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হলে মানুষের জীবন ও সম্পত্তি বিপন্ন হয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতি কখনও আগাম সতর্কতা দিয়ে আসে না। যে কেউ যে কোনও সময়ে এই ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারেন। ছুটি কাটাতে ঘুরতে গিয়ে যদি এমন অবস্থার সম্মুখীন হতে হয়, তবে কী করা উচিত, তা জানা জরুরি।

Advertisement

সতর্কতা অবলম্বন: বন্যার পূর্বাভাস পেলেই কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়ে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে হবে। এই পরিস্থিতিতে অবশ্যই স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশাবলি মেনে চলতে হবে।

উচ্চ স্থানে আশ্রয় নিতে হবে: বন্যার জল বেড়ে গেলে উঁচু জায়গায়, যেমন— বাড়ির ছাদ বা উঁচু কোথাও আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

Advertisement

বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে: বন্যার জল বিদ্যুৎ সরবরাহ বা গ্যাস লাইনে ঢুকে বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই দ্রুত বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিতে হবে।

তাজপুরের বন্যায় ভেসে গেল হোটেল, দোকান। —ফাইল চিত্র।

মূল্যবান জিনিসপত্র নিরাপদ স্থানে রাখতে হবে: বন্যার জল ঢুকে গেলে মূল্যবান জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই সেগুলো সরিয়ে নিরাপদ স্থানে বা জলবিরোধী কোনও প্যাকেটে রাখা যেতে পারে।

পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন: এমন পরিস্থিতিতে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে ফোন করে যোগাযোগ করার চেষ্টা করতে হবে, পরিবারকে খবর পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে যে ঘুরতে গিয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হতে হয়েছে। যদি কেউ নিখোঁজ হয়ে যায়, তা হলে স্থানীয় প্রশাসনের সাহায্য নিতে হবে।

সাহায্যের জন্য অন্যদের সঙ্গে সহযোগিতা করুন: ঘাবড়ে না গিয়ে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে এবং আরও যে সকল পর্যটক বিপদে পড়েছেন, তাদের সাধ্যমতো সাহায্য করতে হবে।

তাজপুরে এই ভয়াবহ বন্যার কারণ হিসাবে বিশেষজ্ঞরা কয়েকটি বিষয়ের দিকে ইঙ্গিত করেছেন। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ফলে আশপাশের ছোট ছোট নদী বা খাঁড়ির তীর ভেঙে যাওয়ার ফলে জল আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। নদী ও জলাশয়ের পাশে অবৈধ ভাবে নির্মাণ করা বাড়িঘর, হোটেল বন্যার আশঙ্কা বাড়িয়ে তোলে। কাছাকাছি বন ধ্বংস করে হোটেল ইত্যাদি তৈরি করার ফলে বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। বন ধ্বংস রোধ করে বন সংরক্ষণ না করলে এই ধরনের পরিস্থিতি আটকানো মুশকিল হবে।

আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস পাওয়া এখন কঠিন নয়, তাই এই ধরনের পূর্বাভাস সম্বন্ধে সচেতন থেকে ঘুরতে যাওয়ার স্থান নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement