ফারহার বাড়িতে কী কী বদল আনলেন গৌরী? ছবি: সংগৃহীত।
গৃহসজ্জাশিল্পী হিসাবে মুম্বইয়ে বেশ জনপ্রিয় গৌরী খান। শাহরুখ খানের স্ত্রী হয়েও অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ দেখাননি কোনও দিনই। বরং তাঁর রুচি ও পেশা অন্দরসাজ নিয়েই। তা নিয়েই কর্মজীবনে এগিয়েছেন তিনি। বিশ্বের প্রথম সারিতে থাকা ধনকুবের থেকে শুরু করে বলিউড ফিল্মজগতের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন চিত্রতারকার বাড়িতে গৃহসজ্জার কাজ করেছেন গৌরী। অন্দরসজ্জা নিয়ে গৌরীর শিল্পসত্ত্বার প্রশংসা করেন অনেকেই। সেই তালিকায় এ বার নাম জুড়ল ‘প্রিয় বন্ধু’ ফারহা খানেরও।
গৌরী খানের পরিচালনায় হোম-ডেকর শো ‘ড্রিম হোম উইথ গৌরী খান’-এ গিয়ে ফারহা বলেছেন, কী ভাবে বন্ধু গৌরী তাঁর অগোছালো বাড়ির ভোল বদলে দিয়েছেন। ফারহার কথায়, “আগে লোখান্ডওয়ালার একটি অগোছালো বাড়িতে থাকতাম। আর এখন মনে হচ্ছে ইটালিতে আছি।”
নিজেকে নিয়ে মজা করতে ভালবাসেন ফারহা। বলেছেন, তিন সন্তানকে সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। খুদেরা ঘরদোরে যা তাণ্ডব চালায়, তা আর বলার নয়। দেওয়ালের রং তো আগেই চটেছে, সোফা-চেয়ার, টেবিল সবেরই তথৈবচ দশা। আগে খুদেদের ঘরের দেওয়ালের রং ছিল গাঢ় নীল। তাতে আবার ছোপ ধরেছিল। মাটিতে ১২ বছরের পুরনো কমলা রঙের কার্পেট। রং উঠে তার যা দশা হয়েছিল, বলার নয়। একটি ঘরের সঙ্গে অন্য ঘরের রঙের কোনও সামঞ্জস্যই ছিল না। আর পাঁচ জন তারকার ঘরের দেওয়ালে শোভা পায় দামি ফোটোফ্রেম, আর তাঁর ঘরের দেওয়াল জুড়ে শোভা পাচ্ছিল খুদেদের হিজিবিজি সব আঁকা। ফারহার কথায়, “কোন ঘর কেমন ভাবে সাজাতে হবে, তা বুঝতে না পেরে, তেমন ভাবেই ছেড়ে দিয়েছিলাম। বাড়িতে অতিথিরা আসলে অস্বস্তিই হত। তাই বাড়ি সাজিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব দিলাম গৌরীকেই। আর ওর হাতের ছোঁয়ায়, গোটা বাড়িই আমূল বদলে গেল। এখন নিজের বাড়িই চিনতে পারছি না।”
ফারহার বাড়ি নতুন করে সাজানোর চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন গৌরী। নীল রঙের দেওয়ালকে সাজিয়েছেন সুন্দর ওয়ালপেপার দিয়ে। পুরনো সোফা-কার্পেট-চেয়ার বাতিল করে উজ্জ্বল রঙের কাঠের আসবাবে ঘর সাজিয়েছেন। সাদা ও ধূসর রঙের ছোঁয়ায় প্রতিটি ঘরেই দিয়েছেন আভিজাত্যের ছোঁয়া। অন্দরসজ্জায় গৌরীর নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। সাধারণত গাছপালা দিয়ে ঘর সাজাতে ভালবাসেন তিনি। উজ্জ্বল রংও পছন্দ তাঁর। ফারহার বাড়িটিও তেমন ভাবেই সাজিয়েছেন। বসার ঘর পেল্লায় টিভি ও হোম থিয়েটার বসিয়েছেন। সোফার রঙের সঙ্গে মিলিয়ে পর্দার রং বেছেছেন। ফারহা জানাচ্ছেন, এখন বসার ঘরটিকে দেখলে আর আগের মতো আস্তাকুঁড় মনে হচ্ছে না। ঘরের আসবাবপত্র থেকে শুরু করে পর্দা, দেওয়ালের রং— সব কিছুর মধ্যেই শিল্পের ছোঁয়া রয়েছে।