কিছু খাবার আছে, যেগুলি লোহার কড়াইয়ে রান্না না করাই ভাল। ছবি: সংগৃহীত।
ননস্টিক, অ্যালুমিনিয়ামের যুগে লোহার কড়াইয়ে রান্নার অভ্যাস কিন্তু এখনও ব্রাত্য হয়ে যায়নি। অনেকের বাড়িতে লোহার কড়াইয়ে রান্না হয় এখনও। লোহার কড়াইয়ে রান্না করা বেশ ঝক্কির, তাই অনেকেই আর ব্যবহার করতে চান না। কিন্তু লোহার কড়াইয়ে রান্না করা খাবার শরীরের যত্ন নেয়। তবে কিছু খাবার আছে, যেগুলি লোহার কড়াইয়ে রান্না না করাই ভাল। তাতে খাবারের স্বাদ এবং গুণমান দুই-ই নষ্ট হয়। কোন খাবারগুলি লোহার কড়াইয়ে রাঁধবেন না? কড়াইয়ে মাছ রাঁধা যাবে না শুনে অবাক হতে পারেন অনেকেই। মাছ কিংবা মাংস, লোহার কড়াইয়ে রান্নার চল বহু আগে থেকেই ছিল। কিন্তু ইদানীং সেই অভ্যাসে দাঁড়ি টানার কথা বলা হচ্ছে। মাছ ভাজতে গেলে অনেক সময় কড়াইয়ে লেগে যায়। লোহার কড়াইয়ে এমন হলে মাছের স্বাদ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কড়াই থেকে মাছ তোলার জন্য তখন বেশি করে তেল দিতে হয়। সেটা আবার শরীরের জন্য খারাপ।
পাস্তা
পাস্তার মতো শৌখিন খাবার রান্নার জন্য লোহার কড়াই ব্যবহার না করাই ভাল। চাউমিনের ক্ষেত্রেও এই একই পরামর্শ। কারণ, এই দু’টি খাবারই তৈরি হয় ময়দা দিয়ে। সেদ্ধ পাস্তা আর চাউমিন কড়াইয়ে দিতেই তা আটকে যায়। ফলে খাবারের স্বাদ তো বটেই, খাবারের সৌন্দর্যও নষ্ট হয়। তার চেয়ে ননস্টিক বা ওই ধরনের পাত্রে রান্না করলে এই সমস্যাগুলি হয় না।
মিষ্টির কোনও পদ
গাজরের হালুয়া, পায়েস রাঁধবেন ভাল কথা। কিন্তু স্বাদ ঠিক রাখতে চাইলে লোহার কড়াইয়ে রান্না না করাই ভাল। কারণ, লোহার সংস্পর্শে এসে খাবারের স্বাদে একটা বদল আসতে পারে। খাবারের মিষ্টত্ব নষ্ট হয়ে যেতে পারে এর ফলে। তাই এই ধরনের খাবার লোহার কড়াইয়ে রান্না না করাই ভাল।
কমলালেবু দিয়ে কোনও রান্না
আচার কিংবা অন্য কোনও শৌখিন পদ— কমলালেবু দিয়ে রান্না করার পরিকল্পনা থাকলে লোহার কড়াইটি এড়িয়ে চলুন। কমলালেবুতে এমনিতেই অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি। ফলে লোহার সংস্পর্শে এসে অন্য রকম বিক্রিয়া ঘটাতে পারে। খাবারের স্বাদও বদলে যেতে পারে।