নতুন পর্দাই অন্দরসজ্জার ভোল বদলে দিতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
যাঁরা ঘর সাজাতে ভালবাসেন, তাঁরা সারা বছর ধরেই বাড়িতে টুকটাক বদল এনে থাকেন। তবে পুজোর মরসুমে বাড়িতে অতিথিদের আনাগোনা অনেক বেড়ে যায়। সহজে ঘরের চেহারা বদলে ফেলতে চাইলে আস্থা রাখতেই পারেন পছন্দসই রংবেরঙের পর্দার উপর। পুজোর আগে পর্দার সঙ্গে কারসাজি করে কী ভাবে অতিথিদের চোখে তাক লাগিয়ে দিতে পারেন, রইল কিছু টোটকা।
১) প্রথমেই দেখে নিতে হবে আপনার ঘরের দেওয়ালের রং বা আসবাবপত্র কী রকম। নেটমাধ্যমে আপনার যে পর্দাটি পছন্দ হল সেটি আপনার ঘরের সঙ্গে মানানসই না-ও হতে পারে। অনেকেই এমন রঙের পর্দা বেছে নেন, যাতে দেওয়ালের রঙের সঙ্গে সামঞ্জস্য থাকে। তবে আসবাবের সঙ্গেও সেই পর্দা যাচ্ছে কি না, যাচাই করে নিন।
২) পর্দার রং হতে পারে হালকা প্যাস্টেল শেডে। ঘরের পরিবেশে আসবে শীতলতার ছোঁয়া। আবার ধরুন ঘরের দেওয়াল খুব হালকা রঙের। সে ক্ষেত্রে উজ্জ্বল রঙের কনট্রাস্ট পর্দাও ব্যবহার করতে পারেন। এতে ঘরও খুব উজ্জ্বল আর সুন্দর দেখাবে।
প্রিন্টেড নাকি একরঙা পর্দা— কোনটা মানাবে আপনার ঘরে, কেনার আগেই ভেবে নিতে পারেন। ছবি: শাটারস্টক।
৩) প্রিন্টেড নাকি একরঙা পর্দা— কোনটা মানাবে আপনার ঘরে, কেনার আগেই ভেবে নিতে পারেন। বসার ঘরের সোফাসেট বা শোয়ার ঘরের বিছানা এবং অন্যান্য আসবাব যদি একরঙা হয়, তবে প্রিন্টেড বা কারুকাজ করা পর্দা বাছতেই পারেন। আর ঘরের আসবাবপত্রে যদি থাকে ভারী কাজ বা জমকালো নকশা, তা হলে বেছে নিন হালকা রঙের একরঙা পর্দা।
৪) পর্দার কাপড় বাছাই করা সবচেয়ে জরুরি। বসার ঘরকে বড় দেখাতেও আলো-বাতাস খেলার সুযোগ করে দিতে পাতলা নেট জাতীয় স্বচ্ছ কাপড়ের পর্দা ব্যবহার করতে পারেন। এতে ঘরে রোদও আসে আর বসার ঘর উজ্জ্বল ও খোলামেলা দেখায়।
৫) শোয়ার ঘরের জন্য বেছে নিতে পারেন একটু ভারী বা মোটা কাপড়ের পর্দা। এতে খুব বেশি রোদও ঘরে আসে না, আর শোয়ার ঘরের গোপনীয়তা বজায় রাখতেও অসুবিধা হয় না। সুতির কাপড় বা স্যাটিন কাপড়ের কাজ করা পর্দা এ ক্ষেত্রে বেশ উপযোগী।