হেঁশেলের বাতিল জিনিস দিয়েই বানিয়ে ফেলুন প্রাকৃতিক সার। ছবি: শাটারস্টক।
পুজোর পর থেকেই প্রকৃতি জানান দিচ্ছে, শীত আসতে বেশি দেরি নেই। তবে শীত মানে শুধুই পাতা ঝরে যাওয়ার সময় নয়। বরং থোকা থোকা ফুটে থাকা গাঁদা, চন্দ্রমল্লিকা, ডালিয়ার শোভাই আলাদা। কিন্তু শীতকালীন রঙিন ফুলের সাজে নিজের বাগান মাতিয়ে তুলতে চাইলে শুরুটা করতে হবে এখন থেকেই। নতুন চারা কুনে এনেছেন? কিন্তু সার হিসেবে কী ব্যবহার করবেন, ভেবে পাচ্ছেন না? ভাবছেন, নার্সারি থেকে দামি সার কিনবেন, না কি অনলাইনে রিভিউ পড়ে আনিয়ে নেবেন বিদেশি সার? সে ক্ষেত্রে আপনার জেনে রাখা দরকার, প্যাকেট-বন্দি সারের বদলে ব্যবহার করতে পারেন রান্নাঘর থেকে প্রতিদিন ফেলে দেওয়া কিছু জিনিস। দামি সারের চেয়ে কোনও অংশে কম কাজের নয় এগুলি।
প্রতি দিনের ফেলে দেওয়া কোন কোন জিনিস সার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন? রইল তেমন কয়েকটি উদাহরণ।
কলার খোসা: এটি পটাসিয়ামে ভর্তি। টবের গাছের পটাসিয়ামের চাহিদার পুরোটাই পূরণ করতে পারে এটি। টবে কলার খোসা সরাসরি পুঁতে দিন। বা খোসা ছোট করে কেটে ২৪ ঘণ্টা জলে ভিজিয়ে রাখুন। তার পরে সেই জল টবে দিন অল্প অল্প করে।
ডিমের খোলা: গাছের ক্যালসিয়ামের চাহিদা মেটাতে পারে এটি। রোজ তো ফেলেই দেন। এ বার বরং এই খোলা গুঁড়ো করে নিয়ে মিশিয়ে দিন আপনার বাড়ির টবগুলিতে।
কফির গুঁড়ো: রোজ ফিল্টার কফি খান? ছেঁকে নেওয়ার পর তার গুঁড়ো দানাগুলি ফেলে দেন? আর দেবেন না। গোলাপ এবং টম্যাটো গাছের খুব ভাল সার হতে পারে এটি। ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার পর সরাসরি টবে ঢেলে দিতে পারেন এই কফির গুঁড়ো। বা জলে ভিজিয়ে রেখে পরেও দিতে পারেন।
ব্যবহৃত টি ব্যাগ ও চা পাতা: চায়ে ব্যবহৃত টি ব্যাগ গাছের সার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। চা ছাঁকার পর যে অবশিষ্ট চা পাতা পরে থাকে, সেটাও সার হিসেবে খুব ভাল। তবে দুধ-চায়ের পাতা হলে না দেওয়ার চেষ্টা করুন।
পুরনো সব্জি: একটু পুরনো হয়ে যাওয়া সব্জি রান্নায় ব্যবহার করা যায় না। ফেলে না দিয়ে সার তৈরির পাত্রে রেখে দিন। কিছু দিন রাখার পর এটিও ভাল সার হবে। আলাদা করে সার কিনতে হবে। গাছগুলিও তরতরিয়ে বেড়ে উঠবে।