চাউমিন, পাস্তা সেদ্ধ করে সেই জল আবার পুনরায় রান্নার কাজে লাগাতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত
কথায় বলে জলই জীবন। ছোট থেকেই আমাদের শেখানো হয় জলের অপচয় করা কখনই করা উচিত নয়। তবে রান্নার সময় অজান্তেই আমরা অনেকটা জলের অপচয় করে ফেলি। রান্নার বিভিন্ন কাজেই জলের ব্যবহার করা হয়। ভাত, ডাল, চাউমিন, পাস্তা কিংবা সব্জি সেদ্ধ হয়ে গেলে আমরা সেই জল ছেঁকে ফেলে দিই। কিন্তু যদি ফেলে না দিয়ে একটি পাত্রে সেই জল জমিয়ে রেখে দেন, তা হলে পরে নানা কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। ভাবছেন কী ভাবে?
১) ফল, শাক-সব্জি, চাল-ডাল ধোয়ার সময়ে সেই জল ফেলে না দিয়ে গাছের গোড়ায় দিতে পারেন। লিকার চা বানানোর সময় অনেক ক্ষেত্রেই বেশি হয়ে যায়, চা পাতা সমতে সেই চায়ের জলও গাছের পরিচর্যার কাজে ব্যবহার করতে পারেন।
২) অনেক সময় গাড়িতে ভরা জলের বোতল রেখে দিয়ে আমরা ভুলে যাই। দু’দিন পর গাড়ি খুলে দেখলে মনে পড়ে সেই কথা। তখন আর সেই জল খাওয়া যায় না। নষ্ট হয় সেই জল। তবে এ বার থেকে এ রকম কোনও ভুল হলে সেই জল ফেলে দেবেন না। বরং বাড়ি পরিষ্কার করার কাজে, বাসন মাজার কাজে ব্যবহার করতেই পারেন।
৩) বাসন মাজার কাজেও অনেক জল ব্যবহার করা হয়। কড়াইতে রান্না ধরে গেলে সেই দাগ পরিষ্কার করতে সময় ও জল দুইয়েরই অপচয় হয়। এ ক্ষেত্রে সমান্য জল গরম করে নিয়ে কড়াইতে আধ ঘণ্টা মতো রেখে দিন। দেখবেন অল্প সময়েই সেই দাগ দূর করা সম্ভব হবে। জলের অপচয়ও বন্ধ হবে।
প্রতীকী ছবি
৪) চাউমিন, পাস্তা সেদ্ধ করে সেই জল আবার পুনরায় রান্নার কাজে লাগাতে পারেন। পিৎজ্জার ময়দা মাখার সময়ে যদি নুন আর তেল মিশানো চাউমিন সেদ্ধ করা জলটি ব্যবহার করেন, তা হলে পিৎজ্জার রুটি হবে তুলেতুলে নরম। ডাল রান্না করার আগে ভিজিয়ে রাখতে হয়। যদি সাধারণ জলের বদলে চাউমিন সেদ্ধ করা গরম জলে কিংবা ভাতের ফ্যানে ডাল ভিজিয়ে রাখতে পারেন, তা হলে ডাল রান্না করতে বেশি ক্ষণ সময় লাগবে না।
৫) ভাত করার সময় বেশ কিছুটা জলের অপচয় হয়। তবে জানেন কি, ভাতের ফ্যান দিয়ে আপনি রূপচর্চাও করতে পারেন? দু’চামচ ভাতের ফ্যানের সঙ্গে এক চামচ মধু ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে সারা মুখে লাগিয়ে রাখুন। আধ ঘণ্টা পরে ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে, ত্বককে মসৃণ ও কোমল রাখতে এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন।