ছোট ঘরে একটু অন্য ধরনের ঝাড়বাতি লাগান। ছবি: সংগৃহীত
লাল কার্পেটে ঢাকা সিঁড়ি। সিঁড়ি ভেঙে উঠে লম্বা দরজা ঠেলে ঢুকেই বিশাল বসার ঘর। সেখানে রাজকীয় সোফা সেট, শ্বেত পাথরের টেবিল, চার দিকে পুরনো মূর্তি, দেওয়ালে কোনও পূর্বপুরুষের আঁকা ছবি এবং সিলিং থেকে ঝুলছে লম্বা বিশাল ঝাড়বাতি। ঝাড়বাতি শুনলেই এই ধরনের একটা ছবি আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে। অনেকেরই সেকালের সেই অন্দরসজ্জা খুব প্রিয়। কিন্তু এখন বেশির ভাগেরই ছোট ছোট ফ্ল্যাট। দশ বাই বারোর ঘরে সিলিংয়ের উচ্চতাও কম। এই ঘরে কি আর মানায় ঝাড়বাতি? অগত্যা সে সব শখ-নস্ট্যালজিয়া ঝেরে ফেলে সকলেই এখন আধুনিক আলোর ব্যবস্থায় মাতছেন।
কিন্তু ঝুটো সিলিং বানিয়ে শুধু স্পট লাইটিং করাই একমাত্র পথ নয়। কারও শখ থাকলে ঘরে নানা রকম আলো লাগাতেই পারেন। তার মধ্যে থাকতে পারে ঝাড়বাতিও— শুধু সেটা হতে হবে আধুনিক ধাঁচের। তাহলেই মানিয়ে যাবে আপনার ঘরের অন্দরসজ্জার সঙ্গে। কিন্তু কোন ধরনের ঝাড়বাতি ব্যবহার করতে পারেন জেনে নিন।
বেছে নিন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইনের ঝাড়বাতি। ছবি: সংগৃহীত
১। আপনার অন্দরসজ্জা কি বোহেমিয়ান সাজের? তাহলে ঝিনুকের ঝাড়বাতি কিনতে পারেন। পালক দিয়ে তৈরি আলোও ভাল মানাবে। আবার বেতের ঝাড়বাতিও মানিয়ে যাবে।
২। খুব কম জিনিস দিয়ে ঘর সাজাতে পছন্দ করেন। সে ক্ষেত্রে আপনাকে বেছে নিতে হবে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইনের আধুনিক ঝাড়বাতি।
৩। যাঁদের একটু রোমান্টিক অন্দরসজ্জা পছন্দ, তাঁরা কিন্তু মোমবাতির মতো দেখতে ঝাড়বাতি লাগাতে পারেন। খুব বড় আকারের না হলেও চলবে। এখন বাজাতে নানা ধাতুর নানা আকারের ঝাড়বাতি পাওয়া যায়। তাই কিনে সব দেখে কিনে ফেলুন।
৪। যাঁরা শিল্পপ্রেমী, তাঁরা ঘরে একটু অন্য রকম ঝা়ড়বাতি লাগাতে পারেন। আলো তো হবেই, পাশাপাশি এক ধরনের আর্ট ইনস্টলেশনও মনে হবে।
৫। বসার ঘরের আকার যদি সামান্য বড় হয়, তা হলে একটি সুন্দর ঝাড়বাতি লাগাতেই পারেন। সঙ্গে আসবাব রাখুন ছিমছাম। দেওয়ালে এক মাত্র আকর্ষণ হোক একটি সুন্দর পেন্টিং। গোটা ঘরে নজর কারুক শুধু আপনার ঝাড়বাতি।