অফিসের ডেস্কে ভাল থাকবে কী কী গাছ? ছবি: ফ্রিপিক।
অফিস বা কাজের ক্ষেত্র মানে দিনের বেশির ভাগ সময়টাই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বন্দি হয়ে থাকা। আর এই সময়ে চিন্তা-উদ্বেগ যেমন কাজ করে, তেমনই কাজে একঘেয়েমিও এসে যায়। উৎসাহ পাওয়া যায় না অনেক সময়েই। যদি এই সময়টাতে একটি ছোট্ট গাছ ডেস্কে রাখতে পারেন, তা হলেই মন ভাল হয়ে যাবে। অফিস ডেস্কে সবুজের ছোঁয়া থাকলে তা বদলে দিতে পারে আপনার ক্লান্তি-বিরক্তি মেশানো দিন।
অফিস ডেস্কে যেখানে রোদ আসছে না, তেমন জায়গায় কী ধরনের গাছ রাখা যাবে তা জেনে নিয়ে কিনতে পারেন। এমন গাছ কিনতে হবে যার যত্নআত্তিতে বেশি সময় লাগবে না। অল্প যত্নেও তা থাকবে সতেজ, তরতাজা। ডেস্কের জন্য বাছতে পারেন ইংলিশ আইভি, অ্যালো ভেরা, পিস লিলি, স্নেক, জেড, স্পাইডার, চাইনিজ় এভারগ্রিন, বস্টন ফার্ন, পোথোস বা ফিলোডেনড্রন জাতীয় গাছ।
এমন অনেক গাছ আছে যাতে রোজ জল দিতে হয় না। মাটি শুকিয়ে যাওয়ার পর জল দিলেই হবে। যেমন স্পাইডার বা হোয়াইট মানিপ্ল্যান্ট সে ধরনের গাছ। আবার পিস লিলি যেমন দেখতে সুন্দর, তেমনই এর বেশি যত্নও নিতে হয় না। বড় বড় সবুজ পাতার মাঝে সাদা রঙের সুন্দর একটি ফুল দেখলেই মন ভাল হয়ে যাবে।
স্নেক প্ল্যান্টের পুরোটাই পাতা। বাতাসের দূষিত পদার্থ শোষণ করে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়াবে। অফিস ডেস্কে এমন গাছ খুবই ভাল লাগবে দেখতে। আবার সাকুলেন্ট, লিথপস জাতীয় গাছের পাতা বেশ মোটা হয়। পাতায় জল ধরে রাখাই এ জাতীয় গাছের বিশেষত্ব। ডেস্ক প্ল্যান্টস হিসেবে এগুলোর জুড়ি মেলা ভার। যতই কাঁটা থাকুক না কেন, ক্যাকটাসের প্রতি আকর্ষণ কিন্তু সকলেরই। আর ক্যাকটাসে রোজ জল দেওয়ার ঝক্কিও খুব একটা থাকে না। বানি ইয়ার্স, ওল্ড লেডি ক্যাকটাস, চিনা ক্যাকটাস, সাগুয়ারো ক্যাকটাস বেশ ভাল। তবে কিছু গাছের জন্য রোদ দরকার হয়। তাই কেনার সময়ে জিজ্ঞাসা করে কেনাই ভাল। এক থেকে দেড় মাস অন্তর টবের মাটি অল্প খুঁচিয়ে সার মিশিয়ে দিলেই হল। তবে সার কখনও গাছের গোড়ায় দেবেন না। ডেস্কে বসে চিনি ছাড়া লিকার চা খেলে, কাপের তলানির চা ফেলবেন না। বরং ঠান্ডা হয়ে গেলে সেই লিকার ঢেলে দিন গাছে। তাতেই সার দেওয়া হয়ে যাবে।