হাঁপানির সমস্যা বাড়তে দেবেন না। ছবি: সংগৃহীত।
বাইরে থেকে ঝকঝকে, চকচকে দেখালেও, ঘরের আনাচে-কানাচে যে ধুলো জমে নেই সেটা নিশ্চিত করে বলা যায় না। বাড়ির সামনে রাস্তা থাকলে ঘর দূষণমুক্ত রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। তবে অনেকেই ধুলোবালি এড়াতে পিউরিফায়ার ব্যবহার করেন। কিন্তু যন্ত্রের উপর সব সময় ভরসা করে নিশ্চিন্ত থাকা যায় না। তবে ঘর দূষণমুক্ত থাকবে যদি কিছু গাছ সাজিয়ে রাখতে পারেন। ঘর সাজানোও হল আবার দূষণের ভয় থাকল না। মানসিক অবসাদ কমাতেও এগুলির জুড়ি মেলা ভার।
চাইনিজ এভারগ্রিন
বাতাসকে দূষণ মুক্ত করে, বাতাসকে বিভিন্ন ক্ষতিকারক পদার্থ মুক্ত করে। কিন্তু একে লালন পালনের জন্য খুব বেশী যত্নের প্রয়োজন হয় না। ছায়াতে ভাল থাকে এরা। তবে খেয়াল রাখতে হয় যেন টবের মাটি ভিজে থাকে।
জারবেরা ডেইজ়ি
বিপুল পরিমাণ অক্সিজেন উৎপাদন ক্ষমতা এবং বাতাস থেকে দূষিত কণা দূর করার ক্ষমতা সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা নেই। তবে এর জন্য শীতকাল ছাড়া সারা বছরই পর্যাপ্ত সূর্যরশ্মি প্রয়োজন হয়। ভাল করে জল দিতে হয়, যাতে মাটি সব সময় ভিজে থাকে। শোওয়ার ঘর এই গাছ রাখার আদর্শ জায়গা।
এরিকা পাম
এই গাছের সৃষ্টি যেন বাতাস পরিশুদ্ধ করার জন্য। এটি বসার ঘরে রাখার পক্ষে একেবারে আদর্শ একটি গাছ। অল্প আলো এবং মাঝে মধ্যে জল দেওয়া ছাড়া বিশেষ যত্নের দরকার পড়ে না।
মানি প্লান্ট
এই গাছটিও বাতাসে অক্সিজেন দেয়। বিভিন্ন দূষিত পদার্থ দূর করে। এর আরও বিশেষত্ব হল, এটি রাতেও ক্রমাগত বাতাসে অক্সিজেনের যোগান দিয়ে যায়। বদ্ধ ঘরের ক্ষেত্রে এটি একটি আদর্শ গাছ। একে রাখার সবচেয়ে ভাল জায়গা হল শোয়ার ঘর। অল্প আলো এবং সপ্তাহে এক দিন জল, বেঁচে থাকার জন্য বিশেষ কোনও চাহিদা নেই এই গাছের।