ওয়াইনের বোতল দিয়েই অন্দরসজ্জা। ছবি: সংগৃহীত।
বাড়িতে মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে বা মাঝেমধ্যেই ঘরোয়া পার্টির আয়োজন করলে ছোট-বড় মদের বোতল জমে যায়। ওয়াইন খাওয়ার অভ্যাস থাকলে, জমে যায় সেই সমস্ত বোতলও। এই সমস্তই ফেলে দেন নিশ্চয়ই। তবে হাতে খানিক সময় থাকলে আর সৃজনশীল ভাবনা থাকলে ঘর সাজাতে ব্যবহার করতে পারেন এই বোতলগুলি। চাইলে প্রিয় মানুষটিকে এ দিয়ে বিশেষ উপহারও বানিয়ে দিতে পারেন।
ফুলদানি
মদের বোতল হোক বা ওয়াইনের, খুব সহজেই তা দিয়ে ফুলদানি বানিয়ে নিতে পারেন। প্রথমেই বোতলের কাগজটি তুলে ফেলে, ঘষে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এর পরের কারিকুরি নিজের উপর। আঁকার হাত ভাল হলে তাতে কাচের উপর আঁকা যায়, এমন রং দিয়ে নকশা তুলতে পারেন। আবার রঙিন কাপড়খণ্ড বোতলের খানিকটা অংশে জুড়ে দিতে পারেন। তার উপর সরু ফিতে কৌশলে বেঁধে দিলেই দেখতে বেশ লাগবে।
মোমবাতিদান
ওয়াইনের বোতল দিয়ে মোমবাতিদান বানিয়ে নিতে পারেন। বোতল যদি কেটে নিতে পারেন, তা দিয়েও মোমবাতিদান বানানো যায়। তবে যদি সেই ঝক্কিতে যেতে না চান, তা হলে বোতলের মুখের মাপের একটি মোমবাতি নিতে হবে। মোমবাতির নীচের অংশটি ব্লেড বা ছুরি দিয়ে পেনসিল কাটার মতো করে একটু সুচালো করে নিতে হবে। এতে বোতলের মুখে সেটি বসানো যাবে। নকশার জন্য বোতলের গায়ে মোমবাতি গলিয়ে একটু একটু করে ফেলতে পারেন। সেটি জমে গিয়ে অন্য রকম সৌন্দর্য আসবে।
বোতলে বার্তা
বহু গল্পেই উল্লেখ রয়েছে, নাবিকেরা বিপদে পড়লে বার্তা পাঠানোর জন্য তা কাগজে লিখে বোতলবন্দি করে সাগরে ভাসিয়ে দিতেন। তেমনই কিছু ভাবনাও অন্দরসজ্জায় কাজে লাগাতে পারেন। ওয়াইনের বোতল বা বড় কোনও কাচের বোতলে পাটের সুতো জড়িয়ে নকশা করতে পারেন। বোতলের ভিতরটি বালি ও ঝিনুক দিয়ে সাজিয়ে তার মধ্যে কোনও কাগজ গুটিয়ে সাজিয়ে রাখতে পারেন। আবার কোনও বন্ধুকে বা প্রিয়জনকে এ ভাবে মনের কথা লিখে বোতল উপহারও করতে পারেন।
বোতলে আলোকসজ্জা
বোতলটি ভাল করে ভিতর ও বাইরে পরিষ্কার করে তার মধ্যে এলইডি আলো ভরে দিতে পারেন। রঙিন হোক বা একরঙা, আলো জ্বললেই দেখতে ভাল লাগবে।
বোতলসজ্জা
বোতলটি পছন্দের কোনও একটি রং করে নিন। এ বার কাগজে কোনও সুন্দর ছবি এঁকে, সেটি কেটে রং করা বোতলের উপর বসিয়ে দিতে পারেন। বিভিন্ন রকম লেখা কেটে জুড়তে পারেন। আবার হৃদয়ের আকারে একাধিক কাগজের টুকরো কেটে রং করা বোতলে লাগিয়ে দিতে পারেন। ভিতরে এলইডি আলো জ্বালিয়ে দিলেও ঘরের চেহারা বদলে যাবে।