প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে ভারতে প্রথম কোভিড সংক্রমণ ধরা পড়ে। কেরলের সেই ডাক্তারির ছাত্রীর সম্প্রতি ফের কোভিড সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এই খবরে অনেকেই আশঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তবে বলে রাখা ভাল, তাঁর কোনও রকম উপসর্গ দেখা যায়নি এবং তিনি বাড়িতেই নিভৃতবাসে রয়েছেন।
দ্বিতীয় বার করোনা হলে অনেকেই ভেঙে পড়তে পারেন। মনে ভয়ও ধরে যেতে পারে। কিন্তু কেরলের কোভিড রোগীর ফের সংক্রমণের খবরের ৫টা ভাল দিকও রয়েছে। সেগুলি কী, জেনে নেওয়া যাক।
কোভিড সংক্রমণ দীর্ঘ দিন নিরাপদ রাখে
কারুর একবার কোভিড হলে, তাঁর শরীরে নানা ধরণের অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। এবং সেগুলি অন্তত ৭ থেকে ১২ মাস আপনাকে সুরক্ষিত রাখে। আইসিএমআর’এর প্রধান জানিয়েছেন, স্বাভাবিক কোভিড সংক্রমণ হলে সেই অ্যান্টিব়ডি অনেক বেশি শক্তিশালী হয় এবং দীর্ঘ দিন থাকে। কতদিন, তা নিয়ে গবেষণা চলছে।
দ্বিতীয়বার কোভিড সংক্রমণ সাধারণত উপসর্গহীন
ব্রিটেনের ‘পাবলিক হেল্থ ইংল্যান্ড’ জানিয়েছে, দ্বিতীয়বার কোভিড হওয়ার সম্ভাবনা তুলনামূলক ভাবে কম। এবং হলেও দেখা গিয়েছে, রোগীরা উপসর্গহীন বা খুব কম উপসর্গ রয়েছে তাঁদের। তাঁরা দ্রুত সুস্থও হয়ে উঠেছেন। ভারতেও বেশ কিছু চিকিৎসক এমনই জানিয়েছেন।
প্রতীকী ছবি।
করোনা সংক্রমণ হলে টি-সেল তৈরি হয়
শরীরে সার্স-কোভ-টু ভাইরাস আক্রমণ করলে অ্যান্টিবডির পাশাপাশি কিছু বিশেষ কোষ তৈরি করে আমাদের প্রতিরোধশক্তি যাকে টি-সেল বলা হয়। এগুলো আদপে স্মৃতি-কোষ। কোনও ভাইরাস শরীরে ঢুকলে সেগুলো চিনে একটা স্মৃতি তৈরি করে ফেলে। অ্যান্টিবডি চলে গেলেও এই কোষগুলি থেকে যায়। ফের একই ভাইরাস শরীরে প্রবেশে করলে সেই স্মৃতি থেকে আরও দ্রুত অ্যান্টিবডি তৈরি করে লড়তে সাহায্য করে। এই কারণে ফের সংক্রমণ হলে বেশির ভাগ মানুষ দেখা যাচ্ছে উপসর্গহীন।
দ্বিতীয় সংক্রমণে অন্যদের সংক্রমিত করার সম্ভাবনা কম
কেরলের ছাত্রীর ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, তাঁর পরিবারের সদস্যরা সুরক্ষিত। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, দ্বিতীয়বার কোভিড হলে, অন্যদের সংক্রমিত করার ক্ষমতা ভাইরাসের কমে যায়।
প্রতিষেধকের অ্যান্টিবডির তুলনায় স্বাভাবিক সংক্রমণের অ্যান্টিবডি বেশি কার্যকর
একবার কোভিড হলে প্রায় ৩ মাস প্রতিষেধক নিতে মানা রয়েছে কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ী। এর মূল কারণ স্বাভাবিক কোভিড সংক্রমণে শরীরে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, তা প্রতিষেধকের অ্যান্টিবডির তুলনায় অনেক বেশি দিন কার্যকর থাকে। বেশ কিছু গবেষণা বলছে, অনেক সময় বছর দেড়েকও থাকছে সেই অ্যান্টিবডি।