কী কী পানীয় আজ অবশ্যই বাড়ির লোকজনকে খাওয়াবেন? ছবি: ফ্রিপিক।
মার্চের গরম ভালমতোই পড়েছে। তার উপর রোদে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রং খেলা আর রং তুলতে দেদার স্নান করার পরে হাঁচি-কাশির সমস্যা অনেকেরই হয়। বিশেষ করে বাড়ির বয়স্ক ও ছোটদের এই সমস্যা হতে পারে। অ্যালার্জি থাকলে, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, নাক থেকে অনবরত জল পড়ার সমস্যাও হয়। আরও একটি সমস্যা দেখা দিতে পারে, তা হল জলশূন্যতা। দীর্ঘ ক্ষণ জল না খেয়ে থাকার কারণে শরীর অসুস্থও হতে পারে। তাই আজ কয়েকটি বিশেষ পানীয় বাড়ির লোকজনকে খাওয়াতে পারেন।
হাঁচি-কাশি অ্যালার্জির সমস্যা হলে
মধু-তুলসি ও গোলমরিচের পানীয়
এক কাপ জলে ৪-৫টি তুলসি পাতা ফেলে ভাল করে ফুটিয়ে নিতে হবে। এর সঙ্গে মেশাতে গোটা গোলমরিচ। ৫-৭ মিনিট ধরে ফোটানোর পরে তাতে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেতে হবে। এই পানীয় খেলে সর্দি-কাশির সমস্যা দূর হবে। অ্যাল্রিজক রাইনিটিস যাঁদের আছে, তাঁরা যদি এটি দিনে দু’বার খান, তা হলেও উপকার হবে।
তুলসি পাতার অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল গুণ আছে। প্রদাহ নাশ করতেও পারে। এর সঙ্গে গোলমরিচ ও মধু মিশলে সেই পানীয় অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর হবে যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে। পাশাপাশি ভিটামিন এ, সি, ই ও কে এবং খনিজের চাহিদাও পূরণ করবে।
জলশূন্যতার সমস্যা হলে
শসা-পুদিনার পানীয়
শসার টুকরো ও পুদিনা পাতা একসঙ্গে মিক্সিতে ব্লেন্ড করে নিয়ে সেই পানীয় ছেঁকে খেতে পারেন। অথবা এক লিটার জলে একটি গোটা শসা টুকরো করে কেটে দিয়ে তার সঙ্গে ৭-৮টি পুদিনা পাতা মিশিয়ে, সেই জল ১ ঘণ্টার মতো রেখে দিতে হবে। তার পর সারা দিন অল্প অল্প করে সেই জল খেতে হবে। এটি ডিটক্স পানীয়ের মতো কাজ করবে। শরীরে ভিটামিন ও খনিজ উপাদানগুলির ঘাটতি পূরণ করবে।
স্পোর্টস ড্রিঙ্ক
এক গ্লাস জলে একটি গোটা পাতিলেবুর রস চিপে দিতে হবে। তার সঙ্গে মেশাতে হবে এক চিমটে সৈন্ধব লবণ ও এক চা চামচ মধু। এই পানীয় ক্লান্তি, ঝিমুনি কাটাতে সাহায্য করবে।