‘ওয়ার্ল্ড হেল্থ অর্গানাইজেশন (হু)’-র সমীক্ষা বলছে বিশ্ব জুড়ে প্রায় ৩০ কোটি মানুষ মানসিক অবসাদের শিকার। ২০০৫ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে এর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১৮ শতাংশ। ভারতে ২০১৬-১৭-য় অবসাদে ভোগা মানুষের সংখ্যা প্রায় ৩৬ শতাংশ বেড়েছে। অবসাদ কাটাতে তাই কিছু ভেষজ উপাদানের নিদান দিলেন চিকিৎসকেরা।
অশ্বগন্ধা: যে কোনও রোগ নিরাময়ে সেই প্রাচীন কাল থেকেই আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের উপর ভরসা করে আসছেন চিকিৎসকেরা। মানসিক অবসাদ কাটাতেও তাই হাতিয়ার সেই আয়ুর্বেদই। চিকিৎসকদের কথায়, অবসাদ কাটানোর খুব ভাল টোটকা অশ্বগন্ধা। অশ্বগন্ধার মধ্যে রয়েছে স্টেরয়ডাল ল্যাকটোন, স্যাপোনিনস, অ্যালকালয়েড, যা অবসাদ, অকারণ উত্তেজনা, উৎকণ্ঠা নিরাময়ে সাহায্য করে। মানসিক স্থিতি এবং ধৈর্য বাড়িয়ে তোলে।
ব্রাহ্মী: ছোট গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ ব্রাহ্মী। প্রাচীন কাল থেকেই ব্রাহ্মীর উপকারিতা সর্বজনবিদিত। যে কোনও রকম অবসাদ এবং উদ্বেগ কাটাতে এর জুড়ি মেলা ভার। গবেষকদের মতে, ব্রাহ্মী খেলে মস্তিষ্কে স্টেরোটনিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, ফলে মন শান্ত থাকে, উৎকণ্ঠা দূর হয়। যে কোনও স্নায়ুর রোগ নিরাময়েও সাহায্য করে ব্রাহ্মী।
জটামাংসী: এই ভেষজ উদ্ভিদ অবসাদ এবং অনিদ্রা নিরাময়ে খুব ভাল ফল দেয়। জটামাংসী গুঁড়ো নিয়মিত সেবনে মানসিক চাপ কমে। উচ্চ রক্তচাপে এটি হিতকর। অকারণ উদ্বেগ দূর করে।
পুদিনা: এই ভেষজ উদ্ভিদের বহুবিধ গুণ রয়েছে। পুদিনাতে রয়েছে মেন্থল যা স্নায়ুকে ঠাণ্ডা রাখে, উত্তেজনা প্রশমিত করে। অনিদ্রা দূর করে। তা ছাড়া রয়েছে, ভিটামিন এ এবং সি, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালসিয়াম, আয়রন, কপার এবং পটাসিয়াম। নিয়মিত পুদিনা সেবনে মন, মেজাজ ঠাণ্ডা থাকে। উদ্বেগ কমে।
মাকা (পেরিভিয়ান জিনসেং): এই ভেষজ উদ্ভিদের মূল ভিটামিন সমৃদ্ধ। এতে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড, ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট যা অকারণ উত্তেজনা দমন করে। মাকা মানসিক শক্তি বাড়ায়, আলস্য দূর করে। হরমোনের কার্যক্ষমতা বাড়ায়।