প্রতীকী ছবি।
পুজোর আগেও বৃষ্টির কমতি নেই। অসময়ের বৃষ্টিতে ভিজে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। ফলে গলায় ব্যথা, ঢোঁক গিলতে সমস্যা, সর্দি-কাশি লেগেই থাকে। কেন গলায় ব্যথা হয়? এর কারণ টনসিলাইটিস। গলার দুটি ডিম্বাকৃতি গ্রন্থির নাম টনসিল। সাধারণত এরা শরীরে প্রবেশ করা ভাইরাস ও ব্যাকটিরিয়াকে তাড়াতে লড়াই করে। তবে অনেক সময় টনসিল নিজেই ভাইরাসের দ্বারা সংক্রমিত হয়ে যায়, তাকেই চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলে টনসিলাইটিস। বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা দেয়। এই টনসিলাইটিস থেকে আরাম পাবেন কী উপায়ে?
প্রতীকী ছবি।
গরম পানীয়
গলায় ব্যথা হলে মাঝেমাঝেই হাল্কা গরম জল খেতে থাকুন। খেতে পারেন গ্রিন টি বা অন্য কোনও ভেষজ চা। যেহেতু এই সময় শরীর বেশ দুর্বল থাকে, তাই আরাম পেতে সব্জি দিয়ে হাল্কা গরম গরম স্যুপ খান। এতে গলার ব্যথা কম হবে।
বিশ্রাম
এই সংক্রমণের ফলে গলার স্বরও বসে যেতে পারে। তাই জোরে কথা বলার চেষ্টা করবেন না। গলা ভেঙে গেলে পুরোপুরি গলার স্বরকে বিশ্রাম দিন। সেই সঙ্গে নিজের শরীরকেও পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম দিন। পারলে ঘুমোন, এতে ধকল অনেকটা কমবে। যেহেতু এটি সংক্রামক, তাই অন্য কারও থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন।
ঠান্ডা খাবার
ব্যাপারটা অনেকটা কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার মতো। কিন্তু গলার ব্যথা থেকে চটজলদি কিছুক্ষণের জন্য আরাম পেতে এই পন্থা অবলম্বন করে দেখতেই পারেন। ঠান্ডা দই, আইসক্রিম, ঠান্ডা স্মুদি ইত্যাদি খেলে গলায় একটা সাময়িক অসাড়তা তৈরি হবে, ফলে ব্যথা কম অনুভূত হবে।
গার্গল
নুন জলে গার্গল করার টোটকা তো প্রায় সকলেরই জানা। টনসিলাইটিসের সমস্যায় বেশ কাজে দেয় এটি। তবে ঠিক কত পরিমাণ জল আর কতখানি নুন নেবেন, এটা জানা থাকে না। ১ কাপ গরম জল নিয়ে তাতে ১/৪ চা চামচ নুন মেশান। দিনে বারকয়েক গার্গল করুন। ব্যস, তা হলেই আরাম মিলবে।