দুধ খেলে কী কী হয়? আর না খেলে? ছোটবেলা থেকে এর ফিরিস্তি শুনে বড় হয়েছি আমরা। তাই আর বেশি কথা বাড়ালাম না। প্রতি বছর ২৬ নভেম্বর দেশে ন্যাশনাল মিল্ক ডে পালিত হয় দেশে। এই দিনই যে ভারতের মিল্কম্যান ভার্গিস কুরিয়েনের জন্মদিন। জেনে স্বাস্থ্যের কেন এত উপকারী দুধ-
১। দাঁত-গরুর দুধে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম ও প্রয়োজনীয় মিনারেল রয়েছে। ভিটমিন কে, ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিন ডি দাঁত সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
২। হাড়-দুধের মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম শিশুদের হাড়ের গঠনে সাহায্য করে। প্রাপ্তবয়স্কদের হাড় সুস্থ রাখতে প্রতি দিন দুধ খাওয়া প্রয়োজন। এতে বয়স কালে অস্টিওপরেসিসের সম্ভাবনা এড়ানো যায়। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মহিলাদের হাড়ের ঘনত্ব কমতে থাকে। তাই বয়স তিরিশ পেরোলই প্রতি দিনের ডায়েটে অবশ্যই যেন দুধ থাকে।
৩। হার্ট- গরুর দুধে পটাশিয়াম থাকার কারণে দুধ খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে কোলেস্টেরলের মাত্রা থাকে আয়ত্তে।
৪। পেশির স্বাস্থ্য- শিশুদের পেশির গঠনে সাহায্য করে দুধ। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রেও পেশি সচল রেখে স্বাস্থ্য ভাল রাখে দুধ।
৫। ক্যানসার- দেখা গিয়েছে যে সব অঞ্চলে সূর্যের আলো কম পৌঁছয় সে সব অঞ্চলে মানুষ বেশি কোলেরেক্টাল ক্যানসারে আক্রান্ত হয় বেশি। এর কারণ ক্যানসার রোখার অন্যতম উপাদান ভিটামিন ডি। দুধ ভিটামিন ডি-র উত্কৃষ্ট উত্স।
৬। অবসাদ- ভিটামিন ডি সিরোটোনিন হরমোন উত্পাদনে সাহায্য করে। এই হরমোন কমে গেলে মুড অফ হওয়া, খিদে কমে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়।