তৈলাক্ত চুলের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত
রুক্ষ চুল নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন, অথচ আপনার মাথার ত্বক বেশ তৈলাক্ত। এই ধরনের চুলকে বলে মিশ্র চুল। তৈলাক্ত চুল ও রুক্ষ চুলের মিলিত এক ধরনের সমস্যা দেখা যায় এই ধরনের মিশ্র চুল থাকলে। তাই এই পরিস্থিতি ঠিক রাখতে গেলে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। নেওয়া উচিত আবশ্যিক যত্নও। তাই এই ধরনের চুলের জন্য কী ভাবে যত্ন নেবেন, জেনে নিন।
ঠিক শ্যাম্পু বাছুন
এমন ধরনের শ্যাম্পু বাছতে হবে, যা চুলের জন্য নরম অথচ মাথার ত্বককে ভাল ভাবে পরিষ্কার করবে। সিবাম ঠিক ভাবে মাথা থেকে ক্ষরিত হয়ে চুলের ডগা পর্যন্ত না পৌঁছলেই এই সমস্যা দেখা দেয়। তাই যে সব শ্যাম্পুতে মাটি, ল্যাকটিক অ্যাসিড, গ্লিসারিন জাতীয় উপাদান রয়েছে, সেগুলো নির্বাচন করুন।
শ্যাম্পু করার পদ্ধতি বদলান
ঠিক ভাবে শ্যাম্পু না করলেও এই সমস্যা বাড়তে পারে। অনেকে আবার রোজ অপ্রয়োজনীয় ভাবে চুল ভিজিয়ে থাকেন, সেটা এড়ান। প্রয়োজনে ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। মাথার ত্বকে শ্যাম্পু বেশি করে লাগান। আর চুলে লাগানোর সময় শ্যাম্পুর সঙ্গে জল মিশিয়ে লাগান।
নিয়মিত কন্ডিশনিং করুন
চুল মোলায়েম ও প্রাণোচ্ছল রাখতে ঠিক মতো কন্ডিশনিংয়ের কোনও বিকল্প হয় না। কন্ডিশনার চুলের ময়শ্চারইজার হিসেবে কাজ করে। শ্যাম্পু করে চুল থেকে জল ঝরিয়ে নিন। এরপর চুলের মাঝের অংশ থেকে ডগা পর্যন্ত কন্ডিশনার লাগান। কয়েক মিনিট রেখে জল দিয়ে ধুয়ে নিন।
চটচটে চুলের সমস্যার সামাধান কী?
চুল আঁচড়ান
নরম দাঁড়ার চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ান। এর ফলে সিবামের ক্ষরণ বৃদ্ধি পাবে এবং সারা চুলেই একটা তৈলাক্ত ভাব থাকবে। যে কোনও চুলই ভাল রাখার মন্ত্র দিনে ভালভাবে চুল আঁচড়ানো।
বেশি তাপ লাগাবেন না
স্টাইলিং করার জন্য হেয়ার স্ট্রেটনার বা হেয়ার ড্রায়ার যদি ব্যবহার করেন, তাহলে বেশি মাত্রায় গরম করে ব্যবহার করবেন না। এতে চুল আরও রুক্ষ হয়ে যেতে পারে এবং মাথার ত্বকে তৈলাক্ত ভাব আরও বেড়ে যেতে পারে। স্টাইলিং করার আগে চুলের জন্য ভাল কোনও ময়শ্চরাইজার মেখে নিন।