হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মের প্রাচীন চর্চা যোগ ও ধ্যান পাশ্চাত্যে জনপ্রিয় হয়েছে অনেক আগেই। প্রভাব বিস্তার করেছে স্কুলের পাঠ্যেও। আর সেখানেই আপত্তি জানিয়েছেন জর্জিয়ার কেনিসয়ের বুলার্ড এলিমেন্টারি স্কুলের অভিভাবকরা। তাঁদের বক্তব্য এর ফলে ক্রিশ্চান বিরোধী বিশ্বাস, ধ্যান-ধারণা জন্মাচ্ছে তাদের সন্তানদের মনে। আর তার ফলেই এ বার পাঠক্রমে বদল আনতে চলেছে স্কুল। অভিভাবকদের সে কথা জানিয়ে ইমেল পাঠিয়েছেন বুলার্ড স্কুলের অধ্যক্ষ প্যাট্রিস মুর।
তিনি বলেন, “অনেক দিন ধরেই আমরা ছেলে মেয়েদের স্ট্রেসের মোকাবিলা করা শেখাতাম। একাগ্রতা, অধ্যাবসায় শেখানোর জন্য আমরা ধ্যান ও যোগাভ্যাস এনেছিলাম পাঠ্যক্রমে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত কোনও কোনও অভিভাবক এটার ভুল ব্যাখ্যা করছেন। তাই আমরা পাঠ্যক্রম বদল আনছি।”
কী কী বাদ যাচ্ছে পাঠ্যক্রম থেকে?
• বুকের উপর হাত জোর করে ‘নমস্তে’ বলা
• মন্ডল চিহ্ন দিয়ে রং করা(এই চিহ্ন হিন্দু ধর্মে ব্রহ্মান্ডের প্রতীক)
• ক্রিস্টাল হিলিং(স্ফটিকের সাহায্যে রোগ সারানোর প্রক্রিয়া)
স্কুলের এক পড়ুয়ার বাবা ক্রিস্টোফার স্মিথ ফেসবুকে লিখেছেন, স্কুলে এখন কোনও প্রার্থনা শেখানো হয় না, ক্রিশ্চান ধর্মের কোনও শিক্ষাও দেওয়া হয় না। অথচ স্ট্রেস কমানোর নামে ওরা পড়ুয়াদের প্রাচ্যের এক অদ্ভুত রীতি শেখাচ্ছে ক্রিস্টাল ও মন্ত্রপাঠ নিয়ে। যা ভয়াবহ।
এর উত্তরে যোগ ইন্সট্রাকটর শেরিল ক্রফোর্ড বলেছেন, কোনও বিশেষ ধর্মের প্রচার করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। শিশুদের শ্বাস-প্রশ্বাস প্রক্রিয়া, তার কার্যকারিতা সম্পর্কে সচেতন করে তোলা আমাদের উদ্দেশ্য। যা ভবিষ্যতে তাদের উত্কণ্ঠা, রাগ ও বিরক্তির সঙ্গে যুঝতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন: পুরুষদের যৌন ক্ষমতা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয় রসুন!